সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বুদ্ধি বনাম শক্তি: পঞ্চতন্ত্রের গল্প l বোকাহাতিlবুদ্ধিমান খরগোশ ও বোকা হ...

বোকা হাতি ও খরগোশ একদা এক গভীর বনে অনেক বড় বড় হাতি বাস করত। তারা প্রতিদিন জল খাওয়ার জন্য একটি বড় পুকুরে যেত। যাত্রাপথে তারা ছোট ছোট প্রাণীদের ওপর দিয়ে হেঁটে যেত, যা অনেক প্রাণীর ক্ষতি করত। একদিন খরগোশদের দল ভাবল, "হাতিদের এই অত্যাচার বন্ধ করা দরকার।" তারা একটি পরিকল্পনা করল। একটি বুদ্ধিমান খরগোশ হাতিদের কাছে গেল এবং বলল, "হে মহাশয়গণ, আমি চন্দ্রদেবতার দূত। চন্দ্রদেব আপনার কর্মকাণ্ডে রুষ্ট হয়েছেন। আপনি যদি এই পথ দিয়ে যান, তবে আপনাদের প্রতি তাঁর অভিশাপ পড়বে।" হাতির দল বিস্মিত হয়ে বলল, "আমাদের ভুল হয়েছে, কিন্তু চন্দ্রদেবতা কোথায় আছেন?" খরগোশটি হাতিদের রাতের বেলা পুকুরের কাছে নিয়ে গেল। পুকুরে চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখে সে বলল, "এটাই চন্দ্রদেবতা। দেখুন, তিনি কেমন রেগে আছেন।" হাতিরা চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখে ভয় পেল। তারা ভাবল, সত্যিই চন্দ্রদেবতা রেগে গেছেন। তাই তারা প্রতিজ্ঞা করল, আর কখনো সেই পথে যাবে না। এরপর থেকে ছোট প্রাণীরা শান্তিতে বাস করতে লাগল।

অতি লোভী শেয়াল

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু: জীবনী ও আত্মজীবনী

 নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু: জীবনী ও আত্মজীবনী   নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক মহানায়ক, যার জীবন ও আদর্শ আজও মানুষের জন্য এক অমোঘ প্রেরণা। তাঁর আত্মজীবনী এবং জীবনের প্রধান ঘটনাগুলি বাংলায় তুলে ধরা হলো: প্রাথমিক জীবন জন্ম: ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭, কটক, ওড়িশা। পিতামাতা: জানকীনাথ বসু (আইনজীবী) এবং প্রভাবতী দেবী। শিক্ষা: র‍্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন এবং পরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক হন। উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডের ফিটজউইলিয়াম কলেজ, কেমব্রিজে যান এবং সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রবেশ সুভাষচন্দ্র বসু আইসিএস (ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অর্জন করলেও, ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের প্রেরণায় চাকরি ত্যাগ করেন। এরপর তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দ্রুত একজন দৃঢ় নেতা হয়ে ওঠেন। মতাদর্শগত বিভেদ সুভাষচন্দ্র বসুর পূর্ণ স্বরাজ বা সম্পূর্ণ স্বাধীনতার লক্ষ্য কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদের তুলনায...

#বঙ্কিম_চন্দ্র_চট্টোপাধ্যায়_জীবন_ও_সাহিত্য

 #বঙ্কিম_চন্দ্র_চট্টোপাধ্যায়_জীবন_ও_সাহিত্য বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (২৬ জুন ১৮৩৮ - ৮ এপ্রিল ১৮৯৪) বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য প্রতিভা। তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, কবি, এবং সাংবাদিক। তাঁর লেখনীর মাধ্যমে তিনি সমাজকে আলোকিত করেছেন এবং জাতীয় চেতনার জন্ম দিয়েছেন। #জীবনী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৩৮ সালের ২৬শে জুন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অন্তর্গত কাঁঠালপাড়ায়। তাঁর বাবা যাদবলাল চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ডেপুটি কালেক্টর। বঙ্কিমচন্দ্র হুগলি কলেজে পড়াশোনা করেন এবং পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের প্রথম গ্র্যাজুয়েটদের একজন। #সাহিত্য_কীর্তি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে: দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫) বাংলা ভাষায় প্রথম সার্থক উপন্যাস, যা প্রেম ও বীরত্বের অনন্য কাহিনী। কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬) প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্কের এক চমৎকার চিত্র। আনন্দমঠ (১৮...

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

  বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বাংলা সাহিত্যের জগতে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এমন এক নাম, যাঁর সৃষ্টিকর্ম বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁর লেখা গল্প ও উপন্যাস আজও পাঠকদের মুগ্ধ করে। মানবজীবনের সহজ-সরল রূপ এবং প্রকৃতির নান্দনিক বর্ণনা তাঁর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। জীবন পরিচয় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার ঘোষপাড়া-মুরাতিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিল মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মায়ের নাম মোক্ষদা দেবী। ছোটবেলা থেকেই তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন এবং পড়াশোনার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল অপরিসীম। প্রথম জীবনে তিনি শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন এবং পরে তিনি লেখালেখিকে জীবনের অন্যতম কাজ হিসাবে গ্রহণ করেন। সাহিত্যকর্ম বিভূতিভূষণের সাহিত্যজীবন মূলত শুরু হয় "পথের পাঁচালী" উপন্যাসের মাধ্যমে। এই উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি। উপন্যাসটির মাধ্যমে তিনি গ্রামীণ জীবনের সরলতা, প্রকৃতির সৌন্দর্য, এবং দারিদ্র্যের মধ্যেও মান...

স্বামী বিবেকানন্দের ছোট গল্প: শিশুদের জন্য প্রেরণা

  স্বামী বিবেকানন্দের ছোট গল্প: শিশুদের জন্য প্রেরণা একবার স্বামী বিবেকানন্দ একটি গ্রামে এসেছিলেন। গ্রামের সবাই তাঁকে খুব সম্মানের চোখে দেখত। কিন্তু গ্রামের কিছু শিশু তাঁর কাছ থেকে কিছু শেখার জন্য খুব আগ্রহী ছিল। একদিন একদল শিশু স্বামীজির কাছে এসে বলল, "স্বামীজী, আমাদের কিছু শেখান, যা আমাদের জীবনে কাজে লাগবে।" স্বামীজি হাসি মুখে বললেন, "তোমরা কি জানো, সব থেকে বড় শক্তি কী?" শিশুরা ভাবল, কেউ বলল বই পড়া, কেউ বলল বেশি খাওয়া, কেউ বলল শক্তিশালী হওয়া। স্বামীজি সবাইকে শান্ত করে বললেন, "সত্যিকারের বড় শক্তি হলো আত্মবিশ্বাস। যদি তুমি নিজের উপর বিশ্বাস রাখো, তবে তোমার পক্ষে সব কিছু সম্ভব।" এই কথা শুনে একটি শিশু প্রশ্ন করল, "স্বামীজী, আত্মবিশ্বাস কিভাবে বাড়ানো যায়?" স্বামীজি একটি উদাহরণ দিলেন। তিনি বললেন, "ধরো, তুমি একটি লক্ষ্য স্থির করেছ। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে তোমাকে প্রতিদিন চেষ্টা করতে হবে। যদি কখনো ভুল করো বা ব্যর্থ হও, তবে ভয় পেও না। প্রতিবার উঠে দাঁড়াও এবং আবার চেষ্টা করো।" শিশুরা এই কথায় অনুপ্রাণিত হলো। তারা প্রতিজ্ঞা করল যে, তারা নিজ...

Sri Sri Thakur’s Most Astonishing Prophecies - ঠাকুরের অতি বিস্ময়কর কয়...

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

  তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বাংলা সাহিত্যের ভান্ডারে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান অসামান্য। তাঁর লেখনী গ্রামবাংলার জীবন এবং মানুষের মনোজগতের জটিলতাকে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করে। তিনি শুধু একজন সাহিত্যিক নন, বরং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির এক মহান পথপ্রদর্শক। তাঁর জীবন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ২৩শে জুলাই, ১৮৯৮ সালে বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেওয়ার কারণে পড়াশোনা অসমাপ্ত থাকে। এই অভিজ্ঞতা তাঁর সাহিত্যজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে। সাহিত্যকর্ম তারাশঙ্করের সাহিত্যকর্মে গ্রামবাংলার প্রকৃতি, সমাজ এবং মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্ব বারবার উঠে এসেছে। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো: গণদেবতা: এই উপন্যাসে গ্রাম্য সমাজের পরিবর্তন এবং পুরোহিতশ্রেণির প্রভাব চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই গ্রন্থটির জন্য তিনি ১৯৬৬ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে ভূষিত হন। হাঁসুলীবাঁকের উপকথা: এটি তৎকালীন গ্রামীণ জীবনের কঠোর বাস্তবতা এবং মানু...

আশাপূর্ণা দেবীর জীবন ও সাহিত্য: নারীমুক্তির পথপ্রদর্শক

 উত্তর কলকাতার রক্ষণশীল অন্দরমহল থেকে বাংলা সাহিত্যের শীর্ষে উঠে আসা এক অসামান্য নারীর গল্প—আশাপূর্ণা দেবী। সমাজের হাজারো প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে, তাঁর কলমে ফুটে উঠেছিল নারীমুক্তি এবং সামাজিক পরিবর্তনের অমোঘ আহ্বান। চলুন, আজ জানি এই কিংবদন্তি সাহিত্যিকের জীবন এবং তাঁর অবিস্মরণীয় সাহিত্যকর্মের কথা। ৮ই জানুয়ারী ১৯০৯। উত্তর কলকাতার এক রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম নেন আশাপূর্ণা দেবী। পরিবারের প্রচলিত রীতিনীতির কারণে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া ছিল নিষিদ্ধ। কিন্তু আশাপূর্ণার মা ছিলেন মুক্তমনা। তাঁর উৎসাহেই ছোট্ট আশাপূর্ণা বাড়িতেই গৃহশিক্ষকের পড়ানো শুনে বাংলা বর্ণমালা শিখে ফেলেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে, তিনি একটি কবিতা পাঠান ‘শিশু সাথী’ পত্রিকায়, যা প্রকাশিত হয় এবং তাঁকে আরও লেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই মুহূর্ত থেকেই শুরু হয় তাঁর সাহিত্যিক যাত্রা।" শুধু ১৫ বছর বয়সেই তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু সংসারের কাজের ফাঁকে তিনি যা সময় পেতেন, তা ব্যবহার করতেন লেখালেখির জন্য। তাঁর সাহিত্যিক জীবন ছিল প্রায় ৭০ বছরের দীর্ঘ, এবং এই সময়ে তিনি ৩০০টিরও বেশি বই লিখেছেন।" নারীর স্বাধীনতা ও আত্মমর্য...