সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

 

 
১৯৩৩ সাল।
অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একদিন বিকেলে ডাক্তার জে এম দাশগুপ্তর,' শ্রীরাম নিবাসে' উপস্থিত হলেন। সুপ্রসিদ্ধ ডাঃ দাশগুপ্ত ছিলেন অবিভক্ত বাংলার এক সময়ে কংগ্রেস সভাপতি আর শরৎচন্দ্র ছিলেন হাওড়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি। উভয়ের পরিচয় কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে, পরবর্তীকালে একটা নিবিড় সৌহার্দ্যে পরিণতি পায়।
মাঝে মাঝে শরৎচন্দ্র অসুস্থ হলে ডাঃ দাশগুপ্তকে ডাকতেন চিকিৎসার জন্য।
সেদিন শরৎচন্দ্রকে তার বাসভবনে দেখে ডাঃ দাসগুপ্ত বলে ওঠেন," শরৎদা, আপনি কেন এলেন? একটা ফোন করলে আমিই তো যেতাম। এতটা কষ্ট করতে গেলেন কেন!"
উত্তরে শরৎচন্দ্র জানালেন, তিনি সুস্থই আছেন। সুস্থ দেহে ডাক্তারকে তিনি দেখতে এসেছেন।
বেশ খোসমেজাজে দুজনে চা পান করছিলেন। চা পানের ফাঁকে শরৎচন্দ্রের চোখ ঘরে ও বারান্দায় টাঙ্গানো তৈলচিত্র ও বহু ছোট বড় নানা আকৃতির ফটোর উপর পড়ছিল।
"আচ্ছা দাশগুপ্ত,এসব ছবি কি আপনার বাবার?"
ডাক্তার দাশগুপ্ত বললেন,"ইনিই শ্রী রামঠাকুর"
খানিকটা চুপ থেকে বললেন," আপনার গুরুদেব?"
আনন্দ -উচ্ছল মুখে ডাক্তার বললেন," উনি কৃপা করে তাঁর চরণে আশ্রয় দিয়েছেন।"
শরৎচন্দ্র বললেন," আপনার মনপ্রাণ তো দেখছি ভরে রেখেছেন এই রামঠাকুর অথচ আমি ওঁর নামটা পর্যন্ত এতদিন শুনিনি।"
বিনীত ডাক্তার শুধু জানালেন, " উনি প্রচ্ছন্ন থাকতেই পছন্দ করেন।"
বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঠাকুর প্রসঙ্গ করলেন ডাঃ দাশগুপ্ত।
শরৎচন্দ্র গাড়িতে ওঠার মুখে হঠাৎ ফিরে দাঁড়িয়ে ডাক্তারের হাতদুটো ধরে বললেন," আপনার ঠাকুর এ বাড়িতে এলে আমাকে একটা ফোন করে জানাবেন।"
ডাক্তার জানালেন তিনি নিজে গিয়ে নিয়ে আসবেন।
মাস কয়েক পর সকাল বেলায় ডাক্তার দাশগুপ্তকে বাড়িতে এসেছেন দেখে শরৎচন্দ্র বলে উঠলেন," আপনার ঠাকুর এসেছেন তো?"
'এই ঘন্টা খানেক হলো উনি এসেছেন'।
" এক মিনিট সময় চাইছি ভাই"।
অন্তরের আকুতি বুঝি একেই বলে। আসলে ঠাকুর চাইছেন তাই এতো আকুতি শরৎচন্দ্রের।
দোতলার মাঝখানের ঘরে একখানা খাটের উপর শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর বসে আছেন। পরনে আধমলিন একখানা ধুতি,নগ্নগাত্র,বক্ষে মলিন পৈতা,আর কন্ঠে তুলসীর মালা।
সামনে বসে জনা দশেক নরনারী।
শরৎচন্দ্রকে দেখে উপস্থিত সবাই সসম্ভ্রমে সরে বসলেন। ডাক্তার দাশগুপ্ত ঠাকুরের কাছে মিনিট কুড়ি ধরে সপ্রশংস বিবরণ তুলে ধরলেন শরৎচন্দ্রের।
সব শুনছিলেন ঠাকুর কিন্তু দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল শরৎচন্দ্রের মুখের উপর।
ঠাকুর ডাঃ দাশগুপ্তকে বললেন," বৈষ্ণবঠাকুরের সেবার জন্য চা- তামুকের ব্যবস্থা করেন।"
হঠাৎ আলোর ঝলকানি খেলে গেল শরৎচন্দ্রের মুখে। তার সম্বন্ধে এমন কথা তো এর আগে কখনও শোনেননি।
অনেকটা বেলা পর্যন্ত ঠাকুরের কাছে থেকে বাড়ি ফিরে গেলেন শরৎচন্দ্র। বিকেলে আবার এলেন ঠাকুরমহাশয়ের কাছে। ডাক্তার বললেন," শরৎদা,ঠাকুরকে দেখছি আপনার ভালো লেগেছে! তাই আবার বিকেলে এলেন।"
" ঠাকুর দুর্জ্ঞেয় কিন্তু আকর্ষণ তার দুর্বার। বেশিক্ষণ তাঁর কথা মাথায় রাখা যায় না। তাই বারবার বসি আর উঠি।_বললেন শরৎচন্দ্র।
ঠাকুরের কথা শুনতে চাই, বুঝতে চাই।"
শরৎচন্দ্র কখনও সকালে কখনও বিকেলে ঠাকুর সন্দর্শনে আসতেন।
একদিন,সব নরনারী প্রসাদ পাবার ডাক পাচ্ছেন কিন্তু শরৎচন্দ্রের ডাক পড়ল না দেখে শরৎচন্দ্র ওদের পেছন পেছন চলছিলেন।
ডাঃ দাশগুপ্ত শরৎচন্দ্রকে জড়িয়ে ধরলেন আর বললেন," দাদা,আজ যা প্রসাদ হয়েছে তা আপনার পেটের পক্ষে মোটেই উপকারী নয়। অনেক রাত হয়েছে,আপনাকে এবার বাড়ি যেতে হবে।"
নাছোড়বান্দা শরৎচন্দ্রের একটাই প্রশ্ন,"সবাই যখন প্রসাদ পাচ্ছেন,তখন আমি কেন পাবো না?"
ডাক্তার দেখছেন চিকিৎসকের দৃষ্টিতে,তাই তিনি নিবৃত্ত করছেন। আর শরৎচন্দ্র ভক্তের দৃষ্টিতে প্রসাদ প্রাপ্তির জন্য ব্যাকুল।
দুজনের তর্কাতর্কি চলছিলো বারান্দায়, সেখানে আর কেউ ছিলেন না।
সহসা ঠাকুর এসে উপস্থিত হলেন,জানতে চাইলেন কি নিয়ে উভয়ের এতক্ষণ বাকযুদ্ধ।
দুজনেই দুজনের কথা বললেন ঠাকুরের কাছে।
ঠাকুর বললেন," বৈষ্ণবঠাকুরকে প্রসাদে কেন বঞ্চনা করবেন, উনি তো উপকরণ খাইবেন না_ প্রসাদ পাইবেন। প্রসাদে তো কোনও দোষ থাকে না। আর যদি ওনার পেটের ব্যামো হয়, আপনি তো বড় চিকিৎসক আছেনই-- ওনারে দেখবেন।"
মহোল্লাসে শরৎচন্দ্র প্রসাদ পেতে গেলেন।
বাড়ি ফেরার সময় বললেন," বড় ভালো প্রসাদ হয়েছে,আকন্ঠ খেয়েছি। কিছু ভাববেন না।
বলা বাহুল্য শরৎচন্দ্র সুস্থ অবস্থায় পরের দিন ঠাকুরের কাছে এসেছিলেন।
ডাঃ দাশগুপ্ত জিজ্ঞেস করলেন," শরৎদা ঠাকুরকে কেমন লাগলো খুব জানতে ইচ্ছে করে।"
শরৎচন্দ্র উদাস কন্ঠে বললেন," তাঁর কাছে যখনই থেকেছি,মনে হয়েছে সব পেয়েছির দেশে বাস করছি। দূরে গেলে সে সুর হারিয়ে ফেলি। হারানো সুর আর খুঁজে পাইনা।"
খানিকটা স্তব্ধ থেকে বললেন," তাই তো আবার তাঁকে দেখতে চাই।"
জয়রাম জয়রাম
ঠাকুর শ্রীদেহে পার্ষদবর্গের কাছে কথার ছলে অনেক কথা বলেছেন, এক পার্ষদ বলেছিলেন " ঠাকুর আপনি উলুবনে মুক্তা ছড়াইয়া গেলেন।"
ঠাকুর বলেছেন," যার কুড়াইবার ঠিক কুড়াইব"।
অনেক কৃপায় তিনি আশ্রয় দিয়েছেন ওই রাতুল চরণে। ঠাকুর প্রসঙ্গে যে যেমনভাবে ঠাকুরকে দেখেছেন বা পেয়েছেন খানিক লিখতে পেরেছেন ঠাকুর চেয়েছিলেন তাই।
বইয়ের শব্দগুলো পড়ি,বুঝি আর কতটুকু!
শরৎচন্দ্রের কথায় বললে বলা যায় তিনি দুর্জ্ঞেয় কিন্তু আকর্ষণ দুর্বার। তাই বইয়ের শব্দগুলো বারবার পড়তে ইচ্ছে করে।
ঠাকুর বলতেন," শুধুমাত্র যিনি আশ্রয় পেয়েছেন ঠাকুর যে শুধু তাঁকেই লালন করেন তা নয়। আশ্রিতজনের আশেপাশে সবাই তাঁর কৃপা পেয়ে থাকেন। শরৎচন্দ্র কৃপা পেলেন ঠাকুরের তাইতো বারেবারে ছুটে এসেছেন ঠাকুরের কাছে।
কৃপাময় তুমি কৃপা কোরো।
জয়রাম জয়রাম
গুরু কৃপাহী কেবলম্
 
দান করিয়াছেন। আমার পরিবারস্থ সকলে নাম শুনিয়াছেন। রাত্রি ৯টায় ঠাকুর নাম দেওয়া বন্ধ করিলেন। আমি ঠাকুরঘরের দরজায় দাঁড়াইয়া ঠাকুরের অপূর্ব কারুণ্যমণ্ডিত মুখশ্রী অপলক নয়নে নিরীক্ষণ করিতেছিলাম। ঠাকুরও নির্নিমেষ নেত্রে আমার দিকে তাকাইয়া আছেন। কিছু সময় পর আমার পশ্চাৎ দিক হইতে অধ্যাপক বলিলেন, "ফণী, ঠাকুর তোমাকে চাহিতেছেন, তুমি গিয়া প্রণাম কর।” আমি ঠাকুরের চোখে আমার চোখ নিবদ্ধ করিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হইয়া ঠাকুরের নিকটস্থ হইতেই তিনি দয়াপরবশে শ্রীপাদপদ্ম দুইখানি সম্মুখের দিকে প্রসারিত করিয়া দিলেন। ঠাকুর মৃদু মৃদু হাসিতেছিলেন। আমি ঠাকুরের ঐ মৃদু মধুর হাসির মধ্যে শ্রীপাদপদ্মে প্রাণ ভরিয়া প্রণাম করিয়া করজোড়ে উঠিয়া দাঁড়াইলাম। ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন, কি চান? আমি ভীতি-বিহ্বল চিত্তে বলিলাম, "বীজমন্ত্র চাই।” ঠাকুর বলিলেন, বীজমন্ত্রের প্রয়োজন নাই। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঠাকুরের পায়ে প্রণাম করিয়া বাহিরে আসিলাম। লক্ষ্য করিলাম, অধ্যাপক আমার উপর বিরক্ত হইয়াছেন। আমার জ্যেষ্ঠভ্রাতা উষ্মা প্রকাশ করিলেন। তাঁহাদের বিরক্তি ও উষ্মায় ভ্রূক্ষেপ করিলাম না
রামভাই স্মরণে
চলমান অংশ ৩,,,,,

শ্রীশ্রীঠাকুর কখনও কৈবল্যনাথ, কখনও সত্যনারায়ণ, কখনও সত্যপীর, কখনও শ্রীভগবান, কখনও শ্রীকৃষ্ণ, কখনও গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু, কখনও শ্রীহরিরুপে প্রকাশিত হইয়াছেন ভক্তগণের দিব্য চোখে।কালী, দুর্গা, শিব রুপেও তাঁহাকে কোন কোন ভক্ত দর্শন পাইয়াছেন। অবতারই বলি আর দেবতাই বলি, তাঁহারা জন্মগ্রহণ করেন এই বিশ্বলোকের ঘরে ঘরে পিতামাতার কোলে। তাহার পর ঘটে তাঁহাদের মাঝে ভাগবতী প্রকাশ। জীব রুপান্তরিত হয় শিবে। নাম ধারণ করেন ভাগবতী তনু। তিনিই যখন মিলনের আকাঙ্ক্ষায় ছুটিয়া আসেন। আমরা তখন তাঁহাকে দূরে সরাইয়া দিতে চাই। তাই তো তাঁহাকে প্রতিষ্ঠিত করি বেদির বৈকুণ্ঠে। আমরা তোমারি দাস। সংকোচ আর সংশয়ে আড়ষ্ট হই। কিন্তু তিনি তখনো ডাকেন, লইয়া যাইতে চান। যাঁহারা কখনও সখী হইলেন, তাঁহাদের বিচ্ছেদ নাই। তাঁহারা সদানন্দে থাকেন।সর্বলৌকিক ব্রহ্মজ্ঞ শ্রীশ্রীরামঠাকুর উদঘাটিত করিলেন সাধন জগতের অমোঘ সত্য। শ্রবণ করাইলেন ঈশ্বরপ্রাপ্তির সহজ সরল পথ ও পন্থা। তাই তো শ্রীশ্রীঠাকুর পতিতপাবন। দুঃখীর দরদী, নিঃস্বের বন্ধু, ভক্তের ভগবান।
আমার গুরু ভবসিন্ধু
আমার করুণাসিন্ধু
যে যেথায় গোবিন্দ ভজে
সে-ই তাঁরে পায়।
শ্রীশ্রীকৈবল্যনাথ স্মরণে,
ডাঃ খগেন্দ্রনাথ গুপ্ত।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

🦁 সিংহ ও ইঁদুর 🐭 ঠাকুরমার ঝুলি থেকে নীতিশিক্ষামূলক গল্প

  🦁 সিংহ ও ইঁদুর 🐭 ঠাকুরমার ঝুলি থেকে নীতিশিক্ষামূলক গল্প   একদা এক গভীর জঙ্গলে এক বিশাল সিংহ বাস করত। সে ছিল বনের রাজা, সমস্ত প্রাণী তার ভয়ে কাঁপত। একদিন দুপুরবেলা রাজা সিংহ খেয়ে দেয়ে এক গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ল। এমন সময়, এক ছোট্ট ইঁদুর তার গর্ত থেকে বেরিয়ে এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছিল। খেলার ছলেই সে ভুলবশত সিংহের গায়ের উপর চড়ে গেল। এতে সিংহের ঘুম ভেঙে গেল। 😡 ⚡ গর্জন করে সে ইঁদুরটিকে ধরে ফেলল এবং রাগান্বিত স্বরে বলল, 👉 "দুষ্ট ইঁদুর! তুমি এত সাহসী হলে যে আমায় বিরক্ত করছ? এখন আমি তোমাকে খেয়ে ফেলব!" ইঁদুরটি ভয়ে কাঁপতে লাগল এবং হাতজোড় করে বলল, 🙏 "মহারাজ, দয়া করুন! আমি খুবই ছোট্ট আর অসহায়। দয়া করে আমাকে মুক্ত করুন। আমি একদিন আপনার উপকারে আসব!" সিংহ হেসে বলল, 😆 "তুমি এত ছোট একটা প্রাণী! তুমি আবার কীভাবে আমার উপকার করবে?" তবুও, সিংহ দয়ালু হয়ে ইঁদুরটিকে মুক্ত করে দিল । ইঁদুর আনন্দে লাফিয়ে গিয়ে বলল, 🐭 "আপনার এই দয়ার প্রতিদান আমি একদিন দেব, মহারাজ!" ⏳ কিছুদিন পর... সিংহ একদিন বনের মধ্যে শিকারের সন্ধানে ঘুরছিল। হঠাৎ সে এক শিকার...

"বাঘ এসেছিল!|শিশুদের জন্য একটি রহস্যময় বাংলা গল্পIThere Comes the Tiger...

✋ হাতের রেখা বিচার A থেকে Z (Palmistry in Bengali)

    ✋ হাতের রেখা বিচার A থেকে Z (Palmistry in Bengali) 🔠 A থেকে Z বিষয়ভিত্তিক তালিকা: অক্ষর বিষয় বাংলা ব্যাখ্যা A Arjuna Line বিজয়ের রেখা, সাফল্যের প্রতীক B Bracelet Lines কব্জির দাগ, আয়ু ও ভাগ্যের সংকেত C Cross on Palm হাতের ক্রস চিহ্ন – বাধা বা আশীর্বাদ D Destiny Line (ভাগ্যরেখা) কর্মজীবন ও ভাগ্যের দিক নির্ধারণ E Education Line শিক্ষাগত সাফল্যের রেখা F Fate Line কর্মজীবনের উত্থানপতনের রেখা G Girdle of Venus অতিরিক্ত আবেগ বা শিল্পপ্রতিভার চিহ্ন H Heart Line (হৃদয়রেখা) ভালোবাসা ও সম্পর্কের সূচক I Island Sign জীবনে বাধা বা কষ্টের প্রতীক J Jupiter Mount নেতৃত্ব, সম্মান ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা K Ketu Line আধ্যাত্মিকতা ও বিচ্ছিন্নতার রেখা L Life Line (জীবনরেখা) শরীর, স্বাস্থ্য ও আয়ুর ইঙ্গিত M Mystic Cross আধ্যাত্মিক প্রতিভার চিহ্ন N Nail Shape স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে O Om Symbol on Palm আধ্যাত্মিক শক্তির ইঙ্গিত P Palm Shape চার প্রকার – Earth, Air, Fire, Water Palm Q Quadrangle (রেখার ম...