হুজন্মের বিরোধী সংস্কার চিত্তে জমা হয়ে আছে বলে প্রথম অবস্থায় "নাম করা" খুব সুখকর হয় না - রুচি হয় না, রস পাওয়া যায় না, কাম ক্রোধাদির উৎপীড়ন আছে, মন এদিকে ওদিকে ছোটে। অর্থাৎ কাজটা কষ্টকর। এই দুঃখকে বরণ করার নামই তপস্যা।
"সুখের জন্য নাম করা হয় না। তপস্যাই নাম, দুঃখেরই নাম ভজন। নাম করিতে করিতে যখন দুঃখের বাঁধন কাটিয়া যাইবে তখন নামে রুচি অমৃতের স্বরূপ আনন্দ হৃদয়ে আসিবে। বিচ্ছেদ হইবে না। "
ফলাফল ত্যাগ করিয়া নাম করিতে হয়" (২য়, ৯২)। পুরাণ ইতিহাসে দেখা যায় মুনি ঋষিরা হাজার হাজার বছর ধৈর্য্য ধরে তপস্যা করেছেন। সহিষ্ণুতাই জগৎ মুক্ত করিয়া থাকে,
ধৈর্য্যই পরমানন্দ (৩য়, ৩৭) - তাৎপর্য্য এই যে দীর্ঘকাল ধৈর্য্য ধরে না থাকলে "দুঃখের বাঁধন" কাটে না।......
সুতরাং "বিচার করিয়া দেখিবেন ধৈর্য্য ছাড়া আর কিছুই আপন নাই" (২য়, ১৬৭)। রাস্তায় চলতে চলতে দিশেহারা অবস্থাও আসে - " যেখানে পথহারা হয়
সেখানে ধৈর্য্যই ধর্ম্ম জানিবেন....
অহং কর্ত্তা হইয়া পথ ঠিক পাইতে পারে না" (২য়, ২০৮)।
.
.
বেদবাণী আলোচনা প্রসঙ্গে - অধ্যাপক শ্রীঅবনী মোহন বন্দ্যোপাধ্যায়
জয় রাম জয় গুরু 





মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন