বেদবাণী দ্বিতীয় খন্ড -(১) পত্রাংশ ব্যাখ্যাসহ
(শ্রী শ্রী রামঠাকুর)
মূল অংশ:
লোক সকল স্ব স্ব ভাগ্যবশে প্রকৃতির তারতম্য অনুসারে এই মরুভূমে অস্থায়ী বস্তুর প্রলোভনে আকৃষ্ট হইয়া দেহ গেহ সমাজের দ্বারা সুখী দু:খী ইত্যাদি বিদ্যা বুদ্ধি লাভ করিয়া ঐ প্রকৃতির গুণের দ্বারা পরিচালিত হইয়া থাকে। একেই কর্ম্মভোগ বলিয়া জানিবেন। এই ভোগই ভাগ্য অনুসারে হয়। এই ভোগদান করিলেই শান্তি পদ উপভোগের অধিকারী হয়…..মন হইতেই সুখ দুঃখ ভোগ হয়। এই জন্যই পতিসেবার মহত্ত্ব নিয়োগ বিধান করিয়া স্বভাবেই দাসত্ব সেবা হইয়া থাকে। মনের দরকার হয় না। সকর প্রাণীর সত্যরুপ আত্মা একই হয়,ভিন্ন কেহই নয়,দেহই অবয়বই পৃথক পৃথক দেখা যায়।
ব্যাখ্যা:
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের এই বাণীতে তিনি মানবজীবনের প্রকৃত সত্য ও কর্মফল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন। এখানে মূলত কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে:
প্রকৃতি ও মানবজীবন:
মানুষ তার নিজস্ব ভাগ্যের অনুসারে প্রকৃতির বিভিন্ন অবস্থার দ্বারা পরিচালিত হয়। এই জগৎকে তিনি "মরুভূমি" বলেছেন, যার অর্থ এখানে কিছুই চিরস্থায়ী নয়। দেহ, গৃহ, সমাজ ইত্যাদি সবই ক্ষণস্থায়ী এবং মানুষ এসবের মোহে আবদ্ধ হয়ে সুখ-দুঃখ অনুভব করে।
কর্ম ও ভাগ্যের সম্পর্ক:
যে ব্যক্তি যে কর্ম করে, তারই ফল ভোগ করতে হয়। একে তিনি "কর্মভোগ" বলেছেন। অর্থাৎ, প্রতিটি মানুষের বর্তমান অবস্থা তার পূর্বজন্মের বা পূর্বকালের কর্মফলের ফলস্বরূপ। ভাগ্যের অধীনে থেকে এই কর্মফল ভোগ করতে হয়।
শান্তি লাভের পথ:
ভাগ্যনুযায়ী যা কিছু ভোগ করতে হয়, তা সঠিকভাবে গ্রহণ করলে এবং কর্মের প্রতি আসক্তি ত্যাগ করলে প্রকৃত শান্তির অধিকারী হওয়া যায়।
মনই সুখ-দুঃখের মূল:
সুখ-দুঃখের অনুভূতি বাহ্যিক বস্তু দ্বারা নির্ধারিত হয় না, বরং মন থেকেই জন্ম নেয়। যদি মনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবে দুঃখ ও কষ্ট থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সেবা ও আত্মতত্ত্ব:
পতিসেবা বা অপরের সেবা করার মধ্যে যে মহত্ত্ব আছে, তা প্রকৃতপক্ষে দাসত্ব নয়, বরং স্বাভাবিক কর্তব্য। প্রকৃত সত্য এই যে, সব প্রাণীর আত্মা একই, কেবলমাত্র তাদের বাহ্যিক দেহ ভিন্ন হতে পারে। তাই সকলের মধ্যে একটাই সত্তা বিরাজমান, যা ঈশ্বরের অংশ।
উপসংহার:
শ্রী শ্রী রামঠাকুর এখানে বুঝিয়েছেন যে, দেহগত পার্থক্য থাকলেও সকল জীবের অন্তর্নিহিত আত্মা এক ও অভিন্ন। মানুষ যদি এই সত্য উপলব্ধি করতে পারে, তাহলে সমস্ত বিভেদ দূর হয়ে যাবে এবং প্রকৃত শান্তি লাভ সম্ভব হবে।
🦁 সিংহ ও ইঁদুর 🐭 ঠাকুরমার ঝুলি থেকে নীতিশিক্ষামূলক গল্প একদা এক গভীর জঙ্গলে এক বিশাল সিংহ বাস করত। সে ছিল বনের রাজা, সমস্ত প্রাণী তার ভয়ে কাঁপত। একদিন দুপুরবেলা রাজা সিংহ খেয়ে দেয়ে এক গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ল। এমন সময়, এক ছোট্ট ইঁদুর তার গর্ত থেকে বেরিয়ে এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছিল। খেলার ছলেই সে ভুলবশত সিংহের গায়ের উপর চড়ে গেল। এতে সিংহের ঘুম ভেঙে গেল। 😡 ⚡ গর্জন করে সে ইঁদুরটিকে ধরে ফেলল এবং রাগান্বিত স্বরে বলল, 👉 "দুষ্ট ইঁদুর! তুমি এত সাহসী হলে যে আমায় বিরক্ত করছ? এখন আমি তোমাকে খেয়ে ফেলব!" ইঁদুরটি ভয়ে কাঁপতে লাগল এবং হাতজোড় করে বলল, 🙏 "মহারাজ, দয়া করুন! আমি খুবই ছোট্ট আর অসহায়। দয়া করে আমাকে মুক্ত করুন। আমি একদিন আপনার উপকারে আসব!" সিংহ হেসে বলল, 😆 "তুমি এত ছোট একটা প্রাণী! তুমি আবার কীভাবে আমার উপকার করবে?" তবুও, সিংহ দয়ালু হয়ে ইঁদুরটিকে মুক্ত করে দিল । ইঁদুর আনন্দে লাফিয়ে গিয়ে বলল, 🐭 "আপনার এই দয়ার প্রতিদান আমি একদিন দেব, মহারাজ!" ⏳ কিছুদিন পর... সিংহ একদিন বনের মধ্যে শিকারের সন্ধানে ঘুরছিল। হঠাৎ সে এক শিকার...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন