তোমরা না দেখলে আমারে দেখব কে? যামু কই?
ঠাকুর
স্নেহাদর করিতে করিতে বলিতে লাগিলেন, ‘আমি রাগ দেখাই, রাগ করি না৷ ফোঁস
করি, কামড় দেই না৷আমার রাগ তরঙ্গহীন৷তাতে চিত্তে ঢেউ খেলে না, কোন রকম দাগ
কাটে না৷দাগ কাটে না বইলাই আমার ক্রোধ সাময়িক ও অস্থায়ী৷ক্রোধ আমারে পায়
না, প্রয়োজন বোধে আমিই ক্রোধেরে পাইয়া থাকি৷স্বভাবেই থাকি, স্বভাবের অভাব
হয় না৷তোমারে ক্রোধ দেখাইছি, এখন আর স্মরণেও নাই৷গরম জল ফুরাইয়া গেছে সরল
ভাবে জানালেই হইত, তা না কইরা তুমি দ্বৈতবুদ্ধির আশ্রয় নিলা কেন? সরলতার
আশ্রয়ে থাকা নিরাপদ৷শিশুর সরলতাই একমাত্র আশ্রয়৷সেইখানে মন, বুদ্ধির ক্রিয়া
নাই৷ সেইজন্য শিশুর মধ্যে ভগবান বিরাজ করেন৷শিশুর মত সরল হইতে পারলে
ভগবানরে পাওয়া যায়৷আমি বাঞ্ছা করি তুমি শিশুর মত সরল হও৷সরলতা আমি
ভালবাসি৷শুধু সরলতা দিয়া আমারে পাওয়া যায়, সাধ্যসাধনে মিলে না৷তোমার শোধনের
প্রয়োজন হইয়া পড়ছিল৷আমার স্বভাব ভাল নয় বইলা কেহ আমারে ভালবাসে না৷তোমরা
না দেখলে আমারে দেখব কে? যামু কই? – এই বলিয়া ঠাকুর নীরব হইতেই আমি
শ্রীপাদপদ্মে প্রনাম করিলাম৷
(শ্রীফণীন্দ্রকুমার মালাকার লিখিত রামভাই স্মরণে)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন