কথা ও গল্প Kotha O Golpo

  একদা এক গভীর বনের পাশে একটি শান্ত নদী প্রবাহিত ছিল। নদীটির তীরে ছিল একটি বিশাল বটগাছ, যার ডালপালা নদীর উপর ঝুঁকে ছিল। এই গাছে বাস করত একটি সাদা কবুতর, যার নাম ছিল শুভ্রা। শুভ্রা ছিল মিষ্টভাষী ও দয়ালু স্বভাবের, তাই বনের অন্যান্য প্রাণীরাও তাকে ভালোবাসত। একদিন শুভ্রা গাছের ডালে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করছিল। হঠাৎ তার নজরে পড়ল একটি ছোট্ট পিঁপড়ে, যা নদীর তীরে পানি পান করতে এসেছিল। পিঁপড়েটির নাম ছিল কণা। কণা ছিল পরিশ্রমী ও সাহসী, কিন্তু সেদিন তার জীবনে একটি বিপদ অপেক্ষা করছিল। পানি পান করতে গিয়ে কণা হঠাৎ পা পিছলে নদীর স্রোতে ভেসে যেতে লাগল। সে বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছিল, কিন্তু তার ছোট্ট শরীর স্রোতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারছিল না। শুভ্রা এই দৃশ্য দেখে উদ্বিগ্ন হলো এবং ভাবতে লাগল কিভাবে কণাকে বাঁচানো যায়। শুভ্রা দ্রুত একটি পাতা ছিঁড়ে কণার দিকে ফেলে দিল। কণা সেই পাতায় উঠে নিজেকে স্থিতিশীল করল এবং ধীরে ধীরে তীরে পৌঁছাল। তীরে পৌঁছে কণা গভীর শ্বাস নিল এবং শুভ্রার দিকে তাকিয়ে কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠল। সে চিৎকার করে বলল, "ধন্যবাদ, শুভ্রা! তোমার সাহায্য না পেলে আমি আজ বাঁচতাম না।...

  অশক্ত দেহ নিয়েও ঠাকুর এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন। কোথাও স্থির হয়ে থাকতেন না। অপটু দেহ নিয়ে এমনি দিনের পর দিন ঘুরে বেড়ানো ঠাকুরের পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। অবশ্য এই অসুবিধার কথা মুখ ফুটে তিনি কোনদিন বলেন নি। ভক্তগণ এ বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লেন এবং ঠাকুরের জন্য একটি স্হায়ী আশ্রমের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হলেন।অনেক সময় ভক্তেরা বলতেন, "এ বয়সে আপনার আর ঘুরে বেড়ানো সম্ভব নয়; এখন এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে পড়ুন।" এরূপ প্রস্তাবের উত্তরে ঠাকুর বলতেন, "কই,স্থির হতে তো পারি না।" ভক্তগণ রব তুললেন, ঠাকুরের জন্য আশ্রম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই আশ্রমে ঠাকুর স্থায়ীভাবে থাকবেন আর ভক্তরা সুযোগ সুবিধা মত সেখানে গিয়ে ঠাকুরকে দর্শন করে আসবেন।ঠাকুরও ভক্তদের আকাঙক্ষায় সায় দিয়ে বললেন, "আশ্রম করা তো ভালই।" তখন সকলেই মনে করলেন, ঠাকুর সম্মতি দিয়েছেন আর দ্বিধার কারণ নেই। তারপর আশ্রম প্রতিষ্ঠার স্থান নির্বাচন করার জন্য অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ঢাকার শহরতলীতে স্থান নির্বাচনের জন্য চেষ্টা আরম্ভ হল।শ্রীশ্রীঠাকুরও একদিন আমাদের কয়েকজনকে সাথে নিয়ে শহরের উত্তরপ্রান্তে একটি স্থান দেখে এলেন। কিন্তু তিনি...

  শ্রীশ্রী রামঠাকুরই হলেন স্বয়ং শ্রীশ্রী কৈবল্যনাথ। কৈবল্যনাথ বিগ্রহ শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেবই শ্রীশ্রী কৈবল্যনাথরূপে এই মহামিলনের মহাতীর্থে নিত্য বিরাজিত। এখানেই তিনি নিত্য পূজিত ও সেবিত হয়ে থাকেন। 'এখানে মৃত্যুঞ্জয়ী বিগ্রহ শ্রীশ্রীরামচন্দ্রদেবের শ্রীচরণ পরশে অমর হইয়া অমৃতে পর্যবসিত হয়।' সংসারের অসার মুক্তির ক্ষেত্রই হইল কৈবল্যধাম। সত্যং পরম ধিমহী।

  রাম ঠাকুরের বিশেষ অগ্নিঝরা মূল্যবান পাঁচটি বাণী: 1. "যাহা হবার তাহাই হবে, দুশ্চিন্তা করিও না।" → ভবিষ্যতের জন্য অযথা দুশ্চিন্তা না করে ঈশ্বরের ওপর ভরসা রাখার বার্তা দেন তিনি। 2. "সৎপথে থাকিলে দুঃখ আসিলেও শেষে আনন্দ আসিবে।" → সৎ ও ন্যায়বান জীবনযাপন করলে সাময়িক কষ্ট হলেও তার ফল সুখকর হয়। 3. "জগতের কোন কিছুই স্থায়ী নয়, সবই ক্ষণস্থায়ী।" → পৃথিবীর সবকিছুই পরিবর্তনশীল, তাই অস্থায়ী জিনিসের জন্য দুঃখ করা অর্থহীন। 4. "পরকে দয়া কর, দয়া করাই ঈশ্বরের প্রকৃত সেবা।" → মানব সেবাই প্রকৃত ধর্ম, আর দয়া ও সহমর্মিতাই ঈশ্বরের আরাধনার প্রকৃত পথ। 5. "আত্মাকে জানিলে ঈশ্বরকে জানা হইবে।" → আত্মজ্ঞান অর্জন করলেই ঈশ্বরের প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি করা সম্ভব। এই বাণীগুলো জীবনের পথনির্দেশক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য অনুপ্রেরণামূলক।।।

  ঠাকুর অশরীরী (দেহহীন -আত্মা) কে ও নাম দিয়েছেন - শ্রীশ্রীঠাকুর যে কেবল দেহধারী জীবকেই কৃপা করিয়াছেন তাহা নহে, বহু অশরীরী আত্মা তাঁহার নিকট কৃপা লাভ করিয়াছেন। চাঁদপুরে একদিন সকাল বেলা ঠাকুরের নিকট বসিয়া আছি, ঠাকুর একখানা তক্তপোষের উপর বসিয়াছিলেন। নিকট অপর লোক কেহ ছিল না। এমন সময় চাঁদপুর চিটাগাং কোম্পানির বড় বাবু রাজেন্দ্র নাথ সেন মহাশয় তাহার নব বিবাহিত দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে নিয়া ঠাকুরের নিকট আসিয়া "নাম" প্রার্থী হইলেন। ঠাকুর রাজেন বাবুকে সস্ত্রীক নাম ও তৎ সঙ্গে উপদেশ দিলেন। রাজেন বাবু ও তাহার স্ত্রী ঠাকুরকে প্রণাম করিয়া ঘরের বাহির হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ঠাকুর বলিয়া উঠিলেন "এই যে নীল রঙের শাড়ি পরা একটি মহিলা রাজেন বাবুর পাশে বসিয়া নাম নিল সে কোথায় গেল।" আমি বলিলাম "আমি ত এরূপ কোন মহিলা দেখি নাই।" ঠাকুর একটু নিঃশব্দ থাকিয়া বলিলেন "রাজেন বাবুর মৃত স্ত্রী রাজেন বাবুর সঙ্গে একত্রে নাম নিয়া গেলেন। তিনি অশরীরী কিনা সেই জন্য আপনি দেখিতে পান নাই। 'নাম' নেওয়ার পর তাহার আত্মা মুক্ত হইয়া গেল।" " তাঁর স্মরণে" ---...

  "দুষ্টু বানর আর চালাক কাক"   "এক গভীর বনে, যেখানে নানা রকমের প্রাণী বাস করত..."  দুষ্টু বানর একটি গাছে বসে আছে, তার হাতে একটি পাকা আম। সে লাফিয়ে উঠে আমটি ছিঁড়ে নিচ্ছে। নিচে হরিণ, খরগোশ ও কাঠবিড়ালি ভয় পেয়ে তাকিয়ে আছে।   খরগোশ: "এই বানর, আমাদের খাবার কেন নষ্ট করছো?" বানর (হাসতে হাসতে): "হাহাহা! আমি যা খুশি তাই করব!"  কাকটি একটি উঁচু ডালে বসে সব কিছু লক্ষ্য করছে। তার চোখে বুদ্ধির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে।  "কিন্তু এই বনে ছিল এক চালাক কাক!"  সে কি বানরকে শিক্ষা দিতে পারবে?"  "🔸 দুষ্টু বানর আর চালাক কাক 🔸"  একদিন এক গভীর বনে এক দুষ্টু বানর আর এক চালাক কাক বাস করত। বানরটি ছিল খুব দুষ্টু, সে গাছের ফল চুরি করত, অন্য প্রাণীদের উত্যক্ত করত। আর কাকটি ছিল বুদ্ধিমান, সে সবসময় নিজের বুদ্ধি দিয়ে সমস্যার সমাধান করত।  কাক (নিজের মনে): "এই দুষ্টু বানরটা আজ আবার কী গোলমাল করবে?"  একটি বানর ফলের গাছে উঠে পাকা আম ছিঁড়ে খাচ্ছে, নিচে হরিণ, খরগোশ, ও কাঠবিড়ালি ভয় পেয়ে তাকিয়ে আছে। কাক একটি ডালে বসে আছে, সব কিছু লক্ষ্য করছে।  খরগ...

  ভিডিও ইন্ট্রো স্ক্রিপ্ট – "দুষ্টু বানর আর চালাক কাক" 📺 Duration: 8-10 সেকেন্ড 🎵 Background Music: মজার ও রহস্যময় কার্টুন সঙ্গীত 🎬 Style: রঙিন কার্টুন অ্যানিমেশন 🔹 Scene 1: (বনের দৃশ্য) 🎥 Visual: ক্যামেরা ধীরে ধীরে সবুজ বনভূমির উপর দিয়ে জুম ইন করছে। গাছপালা, ঝোপঝাড়, এবং একটি বড় বটগাছ দেখা যাচ্ছে। 🗣️ Narration/Text on Screen: (একটি নরম ও কৌতূহলোদ্দীপক কণ্ঠস্বর) "এক গভীর বনে, যেখানে নানা রকমের প্রাণী বাস করত..." 🔹 Scene 2: (দুষ্টু বানরের দুষ্টুমি) 🎥 Visual: দুষ্টু বানর একটি গাছে বসে আছে, তার হাতে একটি পাকা আম। সে লাফিয়ে উঠে আমটি ছিঁড়ে নিচ্ছে। নিচে হরিণ, খরগোশ ও কাঠবিড়ালি ভয় পেয়ে তাকিয়ে আছে। 🗣️ Dialogue (Sound Effects সহ) খরগোশ: "এই বানর, আমাদের খাবার কেন নষ্ট করছো?" বানর (হাসতে হাসতে): "হাহাহা! আমি যা খুশি তাই করব!" 📌 Text on screen: "দুষ্টু বানর, কিন্তু..." 🔹 Scene 3: (চালাক কাকের উপস্থিতি) 🎥 Visual: কাকটি একটি উঁচু ডালে বসে সব কিছু লক্ষ্য করছে। তার চোখে বুদ্ধির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। 🗣️ Narration/...

  এতক্ষণে মতিবাবুর সহধর্মিণীর মনে পড়লো--ঠাকুরমহাশয় মাংস ফেলে দেওয়ার কথা যে বলেছিলেন তা পালন করা হয়নি এখনও। মাংসের গামলা নামাতে গিয়ে তিনি অনুচ্চ-স্বরে একটু চিৎকার করে উঠলেন। মাংসের গামলার পাশেই একটি বিড়াল মরে পড়ে আছে, মাংসের টুকরোটি তার মুখের পাশে পড়ে আছে। স্বাভাবিকভাবেই অনুমান করা সহজ যে ঐ মাংসের টুকরো মুখে দিতেই বিড়ালটি বিষক্রিয়ায় মৃত হয়েছে। ভয়ে তার তালু পর্য্যন্ত শুকিয়ে গেল। এই মাংসের একটু তো ঠাকুরমহাশয় গ্রহন করেছিলেন।ভয়ার্তকন্ঠে তিনি কাজের লোকটিকে বললেন ওঘর থেকে মতিবাবুকে একটু ডেকে আনার জন্য।মতিবাবু দেখলেন--শুনলেন। বিকল তার হৃদয়--বিবশ হল তার সারা শরীর। আর দাঁড়াতে পারলেন না, বসে পড়লেন রান্নাঘরেই। কাঁদতে কাঁদতেই স্ত্রীকে বললেন, তুমি আজ কী সর্বনাশ করলে তা তো তুমি বুঝছো না। মতিবাবুর সহধর্মিণীও কাঁদছেন অঝোরে আর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে "ঠাকুর! ঠাকুর!!" কাজের লোকটি গামলার সব মাংস নীচে ফেলে দিয়ে এলো। আর একটি ছোট ব্যাগে করে ফেলে দিয়ে এল মৃত বিড়ালটিকে হিদারাম ব্যানার্জী লেনের এক ডাস্টবিনে। মতিবাবু চোখ মুছে ঠাকুরঘরে গিয়ে বসলেন, ক্ষণে ক্ষণে তার দৃষ্টি নিবদ্ধ হচ্ছিল ঠাকুরমহাশয়ের মুখের উপর...

  "চালাক মহিষ" (The Intelligent Buffalo) with screen-wise image prompts in 16:9 format to create a visually engaging Bengali cartoon: Title Screen: Prompt: "A vibrant, colorful village scene in Bengal with lush green fields, a river in the background, and simple village houses with thatched roofs. A strong, intelligent-looking buffalo with bright eyes stands confidently under a banyan tree. The title 'চালাক মহিষ' is written in bold Bengali letters with a playful cartoon font." Scene 1: The Buffalo and the Farmer Prompt: "A simple, hardworking Bengali farmer wearing a white dhoti and a red gamcha (towel) stands beside his big, black buffalo in the farm. The buffalo looks smart and alert, while the farmer holds a plow and smiles at him. The background shows green fields and a few birds flying in the sky." Scene 2: The Rich Merchant’s Challenge Prompt: "A wealthy, cunning merchant with a long mustache and a big turban stands in fro...

  চালাক মহিষ (Intelligent Buffalo – A Bengali Story for Kids) উদ্ভূত পরিকল্পনা এক গ্রামে এক চতুর মহিষ থাকত, যার নাম ছিল কালু। সে শুধু শক্তিশালীই নয়, বরং খুব বুদ্ধিমানও ছিল। কালু গাঁয়ের অন্যান্য পশুদের চেয়ে আলাদা ছিল, কারণ সে শুধু খাবারের জন্য কাজ করত না, বরং নিজের বুদ্ধি দিয়ে কঠিন পরিস্থিতি সামলাত। গোপন ফাঁদ একদিন, সেই গ্রামে এক দুষ্টু বাঘ এসে হাজির হলো। সে প্রতিদিন গ্রামের গরু-মহিষ ধরে নিয়ে যেতে লাগল। সব পশু আতঙ্কে দিন কাটাতে লাগল, কিন্তু কেউই বাঘের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস পেল না। কালু বুঝতে পারল যে, কেবল শক্তি দিয়ে বাঘকে হারানো সম্ভব নয়। তাই সে এক চালাকি পরিকল্পনা করল। চতুরতার পরীক্ষা একদিন কালু নিজে বাঘের কাছে গিয়ে বলল, "বাঘ মামা, তুমি কি জানো এই জঙ্গলে আরও বড় এক বাঘ এসেছে? সে বলছে, এই এলাকা তার।" বাঘ হেসে বলল, "হা হা হা! আমি এই জঙ্গলের রাজা, অন্য কেউ এখানে থাকতে পারবে না। কোথায় সে?" কালু বাঘকে গ্রামের কুয়োর কাছে নিয়ে গেল। সে কুয়োর জলের দিকে ইশারা করে বলল, "এই যে, দেখো! সে তো এখানেই থাকে।" বাঘ কুয়োর জলে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে ভড়...

  তিন মূর্খ পন্ডিত ঠাকুরমার ঝুলি | রূপকথার গল্প | বাংলা গল্প | বাংলা কার্টুন এক ছিল এক গ্রাম। সেই গ্রামে তিনজন পণ্ডিত ছিলেন, কিন্তু তারা আসলে ছিলেন মূর্খ! তারা বই পড়তেন, শাস্ত্র আলোচনা করতেন, কিন্তু বাস্তব জীবনের সাধারণ জ্ঞান তাদের একেবারেই ছিল না। তাদের কাণ্ড দেখে গ্রামের লোকেরা হাসত, কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের খুব জ্ঞানী মনে করত। 🌿 প্রথম কাণ্ড: চাঁদের আলোয় আগুন একদিন সন্ধ্যায় তিন পণ্ডিত পথ চলছিলেন। হঠাৎ একজন আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, 🔹 "দেখো, চাঁদ থেকে আলো আসছে। তার মানে চাঁদে আগুন আছে!" 🔹 দ্বিতীয়জন বললেন, "ঠিক বলেছো! আলো ছাড়া আগুন হয় নাকি?" 🔹 তৃতীয়জন মাথা নাড়িয়ে বললেন, "এতদিন জানতাম সূর্যই একমাত্র আগুনের উৎস! চলো, আমাদের এই নতুন আবিষ্কার রাজার কাছে জানাই!" তারা একসঙ্গে রাজদরবারে ছুটে গেল। রাজা প্রথমে অবাক হলেন, তারপর হেসে বললেন, "তোমরা যদি প্রমাণ দিতে পারো, তাহলে পুরস্কার পাবে!" তিন মূর্খ পণ্ডিত অনেক চেষ্টা করেও প্রমাণ দিতে পারল না। শেষে রাজা বললেন, 🗣️ "চাঁদের আলো সূর্যের প্রতিফলন! তোমরা আবার পড়াশোনা করো!" লজ্জায় তা...

ছোট বন্ধু রা  আশা করি তোমরা সবাই খুব ভালো আছো। .তোমরা কি শুনতে চাও এক মজার গল্প? আজ আমরা শিখবো বুদ্ধিমানের চাতুর্য আর অতিরিক্ত প্রশংসার ফাঁদ সম্পর্কে! তাহলে চল, শুরু করা যাক আমাদের গল্প!" ✨ “আজকের মজার গল্প: চালাক শেয়াল ও বোকা কাক!” একটি ঘন সবুজ জঙ্গলে বিশাল এক গাছ,  একদিন বনের এই বড় গাছের ডালে এক কাক বসে ছিল।আরো গাছে ছিল বিভিন্ন রং বে রঙ এর  পাখি।  আর নীচে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক  শেয়াল। সে ছিল খুব চালাক।  সেই কালো কাক যে গাছের ডালে বসে আছে, তার ঠোঁটে   ছিল   একটি সুস্বাদু রুটি। তখনই এক চতুর শেয়াল সেখানে এল এবং কাকের রুটি দেখে তার মুখে লোভ জল এল। কাকটি ও ছিল  খুব খুশি, মুখ সে   রুটির স্বাদ উপভোগ করে খাবার টা খাবে খাব ভাবছে।  শেয়াল নীচে থেকে তাকিয়ে কাকের মুখের দিকে দেখছে, তার চোখে চতুরতার ঝিলিক। শেয়াল ভাবতে লাগল, “কীভাবে কাকের মুখ থেকে রুটিটা নেওয়া যায়?”  সে তখন এক চালাক বুদ্ধি বের করল। শেয়াল মিষ্টি গলায় কাককে প্রশংসা করছে। শেয়াল মিষ্টি গলায় কাককে বলল,  “ওহে সুন্দর কাকদা! তোমার গায়ের কালো রঙ একেবারে ...

  ঈশপের গল্প〡গাধা আর কুকুরের বন্ধুত্ব〡Ishoper Golpo〡Aesop's fables〡Bengali Cartoon Story〡  একদা, এক সুন্দর গ্রামে এক গাধা আর এক কুকুর একসাথে থাকত... কিন্তু তারা কি সত্যিকারের বন্ধু ছিল?   আহা! গাধাটি সারাদিন পরিশ্রম করে, আর কুকুরটি শুধু আরামে ঘুমায়!" "কিন্তু একদিন, যখন বিপদ এল… তখন কী করল গাধা? আর কুকুর? তোমরা কি জানো?"   "বন্ধুরা! আজ আমরা দেখব এক মজার এবং শিক্ষণীয় গল্প, যা তোমাদের খুব ভালো লাগবে!" গাধা আর কুকুরের বন্ধুত্ব একদা, এক গ্রামে এক কৃষকের বাড়িতে একটি গাধা ও একটি কুকুর একসাথে থাকত।  গাধাটি ছিল কৃষকের বোঝা বইবার কাজের সঙ্গী, আর কুকুরটি ছিল বাড়ির রক্ষক।  যদিও তারা একসাথে থাকত, কিন্তু তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের অভাব ছিল। একদিনের ঘটনা একদিন কৃষক মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন।  দুপুরে গরমের কারণে তিনি ফিরে এসে খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।  গাধা তখন গোয়ালে বিশ্রাম নিচ্ছিল, আর কুকুরটি দরজার পাশে শুয়ে ছিল। কুকুরের অলসতা ঠিক তখনই এক চোর চুপিসারে কৃষকের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করল।  কুকুরটি অলস ছিল, তাই সে কিছুই করল না।  গাধাটি এটা দেখে...

 ✨ "একটি নতুন মজার গল্প… বুদ্ধি বনাম শক্তি!" ✨"A new fun story… Wisdom vs. Strength!"  একটা ছোট্ট হরিণছানা , একটা বিশাল বাঘ আর এক রোমাঞ্চকর জঙ্গল! এই গল্পে আছে সাহস, বুদ্ধি আর শিক্ষা ! 😲🦌🐅"  কিন্তু, বাঘ কি হরিণছানাকে ধরতে পারবে? না কি হরিণ তার বুদ্ধি দিয়ে বাঘকে বোকা বানাবে?  📜 "চলো দেখি… ‘হরিণছানা ও বাঘের গল্প’!"   একদা এক গভীর জঙ্গলে এক ছোট্ট হরিণছানা (Deer) তার মা-বাবার সাথে বাস করত। সে খুব চঞ্চল ছিল এবং খেলাধুলা করতে ভালোবাসত। তার মা তাকে সবসময় সাবধান করত—"জঙ্গলে অনেক বিপদ আছে, সাবধানে থেকো!"  🦌 হরিণছানা: মা, আমি কি একটু ঘুরতে যেতে পারি? 🦌 মা হরিণ: হ্যাঁ, কিন্তু বেশি দূরে যেও না, আর সবসময় সতর্ক থেকো!   একদিন, হরিণছানা খেলতে খেলতে এতটাই মগ্ন হয়ে গেল যে সে তার পথ হারিয়ে ফেলল। হঠাৎ সে দেখল, এক বিশাল বাঘ (Tiger) তার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে! 😨 🎭 ডায়ালগ: 🐅 বাঘ: ওহো! এত ছোট্ট, নরম মাংসের খাবার! আজ তো জমে যাবে! 🦌 হরিণছানা: (ভয় পেয়ে) দয়া করে আমাকে খেয়ো না, আমি হারিয়ে গেছি!   হরিণছানা বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলছে, বাঘ ভা...

"Welcome to Learn and Play Hub with Shibash! Today, we bring you a wonderful story about honesty and kindness. So sit back, relax, and enjoy!" " Story: (Scene: A poor but honest woodcutter is chopping wood near a river. Suddenly, his axe slips from his hands and falls into the river.) 🪓 Woodcutter (sadly): "Oh no! My only axe! How will I work now?" (As he sits sadly, a magical fairy appears with a golden axe in her hand.) 🧚‍♀️ Fairy: "Dear woodcutter, is this your axe?" 🪓 Woodcutter (shaking his head): "No, that is not mine. My axe was made of simple iron." (The fairy smiles and brings out a silver axe.) 🧚‍♀️ Fairy: "Is this your axe?" 🪓 Woodcutter: "No, mine was not silver either." (Finally, the fairy brings out the real iron axe.) 🪓 Woodcutter (happily): "Yes! This is my axe! Thank you, kind fairy!" (The fairy is pleased with his honesty and rewards him with all three axes!) 🧚‍♀️ Fai...

  গল্প: হারানো হাঁস ছানার গল্প ✅ হারানো হাঁস ছানার গল্প | Duck & Fox Cartoon | Bengali Moral Story | New Bangla Fairy Tales | Kids Cartoon (Duck & Fox Cartoon | Notun Bangla Cartoon Golpo | Fairy Tales Golpo)   "একটি সুন্দর পুকুরের ধারে মা হাঁস ও তার ছোট্ট হাঁসছানা টুনটুনি খেলা করছিল। কিন্তু হঠাৎ টুনটুনি স্রোতে ভেসে গিয়ে হারিয়ে গেল!" (Show happy mother duck and duckling playing, then suddenly the duckling drifts away.) 📢 Narrator continues: "কিন্তু এরপর কী হলো? টুনটুনি কি নিরাপদে তার মায়ের কাছে ফিরতে পারবে? নাকি শেয়ালের ধোঁকায় পড়ে বিপদে পড়বে? চলো জেনে নেওয়া যাক এই মজার গল্পে!"     একদিন, ছোট্ট হাঁসছানা টুনটুনি মায়ের সঙ্গে পুকুরে সাঁতার কাটছিল। কিন্তু খেলা করতে করতে সে ধীরে ধীরে পানির স্রোতে ভেসে দূরে চলে গেল। মা হাঁস গুড়গুড়ি যখন খেয়াল করল, তখন টুনটুনি আর তার পাশে নেই! মা হাঁস চারদিকে খুঁজতে লাগল, আর ডাকতে থাকল— "টুনটুনি! তুমি কোথায়?" অন্যদিকে, টুনটুনি ভয় পেয়ে গেল। সে বুঝতে পারছিল না, কোন পথে ফিরবে। ঠিক তখনই এক চালাক শেয়াল তার দিকে তাকি...

  গল্পের নাম: সততার পুরস্কার: কাঠুরিয়া রামুর গল্প (Jalpari o Kathuria Ramu) ভিডিও স্ক্রিপ্ট: ইন্ট্রো: [Background music] 🎵 সুপ্রভাত বন্ধুরা! আজ আমরা শুনবো এক অসাধারণ সততার গল্প। গল্পের নাম- "সততার পুরস্কার: কাঠুরিয়া রামুর গল্প"। শুরু থেকেই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে দেখুন এবং সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না। Scene 1: কাঠুরিয়া রামু জঙ্গলে কাঠ কাটছে 🎙️Narrator: বহু বছর আগে এক গাঁয়ে থাকত রামু নামে এক গরীব কাঠুরিয়া। প্রতিদিন সে জঙ্গলে গিয়ে কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করত। [Background sound: কুড়াল দিয়ে কাঠ কাটার শব্দ] রামু: আহ! সারাদিন কাঠ কাটতে কাটতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। তবুও এই কাজ দিয়েই আমাদের সংসার চলে। Scene 2: রামুর কুড়াল নদীতে পড়ে গেল [Background sound: কুড়াল পড়ার শব্দ, রামুর অবাক হওয়ার কণ্ঠ] রামু: ওহ না! আমার কুড়ালটা পড়ে গেল নদীতে! আমি কী করবো এখন? [Background music: দুঃখজনক সুর] Scene 3: জলপরী নদী থেকে উঠে আসছে 🎙️Narrator: হঠাৎ নদীর মধ্য থেকে এক সুন্দর জলপরী উঠে এল। তার হাতে একটি সোনার কুড়াল। জলপরী: হে কাঠুরিয়া, এটি কি তোমার কুড়াল? রামু: না দেবী, এটি আমার কু...

  ঠাকুরমার ঝুলি থেকে অনুপ্রাণিত একটি শিশুদের নৈতিক গল্প সৎ মনের পুরস্কার এক ছিল ছোট্ট ছেলে, নাম ছিল গোপাল । সে খুব গরিব ছিল, কিন্তু তার মন ছিল সৎ ও দয়ালু । গ্রামের সবাই তাকে ভালোবাসত, কারণ সে কখনও মিথ্যা বলত না এবং কারও ক্ষতি করত না। একদিন গোপাল জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়েছিল। কেটে ফেলার সময় তার কুড়াল নদীতে পড়ে গেল । সে খুব চিন্তায় পড়ল, কারণ কুড়াল ছাড়া সে কাজ করতে পারবে না। ঠিক তখনই, জলদেবী নদী থেকে উঠলেন। তিনি বললেন, 🧝‍♀️ "গোপাল, তুমি কেন কাঁদছ?" গোপাল কাঁদতে কাঁদতে বলল, 🙏 "আমার একটাই কুড়াল ছিল, সেটা নদীতে পড়ে গেছে। এখন আমি কীভাবে কাঠ কাটব?" জলদেবী নদীর নিচে ডুব দিলেন এবং একটি সোনার কুড়াল নিয়ে এলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, 💎 "এটা কি তোমার কুড়াল?" গোপাল বলল, ❌ "না মা, এটা আমার কুড়াল নয়। আমার কুড়াল লোহার ছিল।" এরপর দেবী একটি রুপোর কুড়াল দেখালেন। 💫 "তাহলে এটি কি তোমার?" গোপাল মাথা নেড়ে বলল, ❌ "না মা, আমার কুড়াল এটি নয়।" শেষবারের মতো দেবী গোপালের পুরোনো লোহার কুড়ালটি তুললেন। 🔨 "তাহলে এ...

  Two Friends and a Bear | দুই বন্ধু ও ভাল্লুকের গল্প Scene 1: Introduction Screen Description: Two young friends, Raj and Joy, are walking through a dense forest, talking and laughing. Sunlight filters through the trees, and birds chirp in the background. Image Prompt: "Two young boys, one in a blue shirt and another in a red shirt, walking through a green forest, laughing and talking, surrounded by tall trees and birds." Scene 2: The Forest Gets Darker Screen Description: The path becomes narrow, and the trees grow denser. Raj and Joy look around nervously. Dialogue: Raj: "This forest is getting scary. Are you sure we are on the right path?" Joy: "Don’t worry, Raj! We are together, nothing will happen." Image Prompt: "Two boys looking around nervously in a dense forest, with sunlight fading and an eerie atmosphere." Scene 3: The Bear Appears Screen Description: Suddenly, a large brown bear emerges from the bushes. It...