সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জাতীয় বিজ্ঞান দিবস

শুভ সকাল! ঈশ্বরের আশীর্বাদে শুরু হোক নতুন দিন ☀️ | Good Morning Wishes |...

বিজয়া একাদশীর মাহাত্ম্য!

  পুরাকালে শ্রীরামচন্দ্র সীতা ও লক্ষ্মণসহ ১৪ বছরের জন্য পঞ্চবটী বনে বাস করতেন। সেইসময় লঙ্কাপতি রাবণ সীতা দেবীকে হরণ করেন। সীতার অনুসন্ধানরত রামের সঙ্গে তখন মৃতপ্রায় জটায়ুর সাক্ষাৎ হয়। জটায়ু রাবণের সীতাহরণের সমস্ত ঘটনা রামচন্দ্রকে জানিয়ে মৃত্যুবরণ করল। এরপর সীতা উদ্ধারের জন্য বানররাজ সুগ্রীবের সাথে তিনি বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। ভগবান রামচন্দ্রের কৃপায় হনুমান লঙ্কায় গমন করেন। সেখানে অশোক বনে সীতাদেবীকে দর্শন করে শ্রীরামচন্দ্র প্রদত্ত অঙ্গুরীয় (আংটি) তাঁকে অর্পণ করেন। ফিরে এসে শ্রীরামচন্দ্রের কাছে লঙ্কার সমস্ত ঘটনা ব্যাখ্যা করেন। হনুমানের কথা শুনে রামচন্দ্র সুগ্রীবের পরামর্শে সমুদ্রতীরে যান। সেই দুস্তর সমুদ্র দেখে তিনি লক্ষ্মণকে বললেন, কিভাবে এই অগাধ সমুদ্র পার হওয়া যায়? উত্তরে লক্ষ্মণ বললেন, সর্বজ্ঞাতা আদিদেব রামচন্দ্রকে তাঁর উপদেশ করার মতো কিছু নেই। তবে বক্দালভ্য নামে এক মুনি এই দ্বীপে বাস করতেন। লক্ষ্মণের কথা শুনে তাঁরা সেই মহামুনির আশ্রমে গেলেন। মুনিবর শ্রীরামচন্দ্রকে পুরাণপুরুষ বলে জানতে পারলেন। শ্রীরামচন্দ্র সেই মুনির কাছ থেকে সেই সমুদ্র উত্তীর্ণ হওয়ার উপায় জানতে চাইলেন। সেই মুনি জ...

রাধা দামোদর মন্দির মাংলাই পূর্ব মেদিনীপুর

  রাধা দামোদর মন্দির মাংলাই পূর্ব মেদিনীপুর #বাংলার_বৈষ্ণব_তীর্থ_পর্ব_৮ মাংলই গ্রামের রাধা-দামোদর মন্দির ও রাসমঞ্চ স্থানীয় মাইতি বংশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। উঁচু ভিত্তিভূমির উপর স্থাপিত, দক্ষিণমুখী মন্দিরটি পঞ্চরত্ন শৈলীর ও খাঁজবিহীন রেখ ধরনের বক্রশীর্ষ শিখরবিশিষ্ট। মন্দিরের সামনে ত্রিখিলান প্রবেশপথ। গর্ভগৃহের সামনে অলিন্দ। গর্ভগৃহে প্রবেশের দুটি দরজা। একটি সামনে অর্থাৎ দক্ষিণ দিকে এবং অপরটি পূর্ব দিকে। মন্দিরের সামনের দেওয়ালে সুন্দর 'টেরাকোটা'র অলংকরণ আছে। তারমধ্যে একটি অষ্টাদশভুজা দুর্গামূর্তি অনবদ্য। মন্দিরটি ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। গর্ভগৃহে রাধাদামোদর ( নারায়ণ শিলা ) নিত্য পূজিত। মন্দিরের দুদিকে দুটি 'দেউল' ধরণের মন্দির আছে। এই মন্দিরের পিছনে, উত্তর-পশ্চিম কোণে একটি বড়মাপের আটকোনা ও রেখ দেউলের মত ১৭ টি ( প্রথম তলের আটকোণে আটটি + দ্বিতীয় তলের আটকোণে আটটি + কেন্দ্রীয় চূড়া ) চূড়া-বিশিষ্ট রাসমঞ্চ আছে। রাসমঞ্চটির আটদিকেই খিলানের উপরে চমৎকার টেরাকোটা অলংকরণে ( মুখ্য...

চারজন ব্রাহ্মণের গল্প | বুদ্ধিমত্তার শক্তি | বিক্রম-বেতালl The Power of ...

Bengali: চারজন ব্রাহ্মণের গল্প | বুদ্ধিমত্তার শক্তি | বিক্রম-বেতাল English: The Story of Four Brahmins | The Power of Wisdom | Vikram-Betal

  Bengali: চারজন ব্রাহ্মণের গল্প | বুদ্ধিমত্তার শক্তি | বিক্রম-বেতাল English: The Story of Four Brahmins | The Power of Wisdom | Vikram-Betal চারজন ব্রাহ্মণের গল্প বিক্রম-বেতাল সংকলনের একটি জনপ্রিয় কাহিনি, যা নৈতিক শিক্ষা এবং বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব তুলে ধরে। একটি গল্প... যা জ্ঞান, বুদ্ধি এবং বাস্তবজ্ঞান শেখায়। চারজন ব্রাহ্মণের একটি অভিযানের কাহিনি, যেখানে জ্ঞান ও সাধারণ বুদ্ধির প্রকৃত মূল্য প্রকাশ পায়।" Title Appears: চারজন ব্রাহ্মণের গল্প - বুদ্ধিমত্তার শক্তি | Vikram-Betal Story "তাহলে চলুন, এই রহস্যময় গল্পের যাত্রা শুরু করি..." গল্পের সারাংশ: চারজন ব্রাহ্মণ বন্ধু ছিলেন, যারা একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন। তাদের মধ্যে তিনজন খুবই জ্ঞানী ও শাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন, কিন্তু বাস্তবজ্ঞান বা সাধারণ বুদ্ধি তেমন ছিল না। অন্যদিকে, চতুর্থজনের বিদ্যা কম ছিল, কিন্তু তার সাধারণ বুদ্ধি এবং জীবনবোধ ছিল অত্যন্ত প্রখর। একদিন তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, নিজেদের জ্ঞানকে ব্যবহার করে কিছু অসাধারণ করে দেখাবেন। তারা একটি মৃত সিংহের কঙ্কাল খুঁজে পেলেন এবং সেই সিংহকে পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা করলেন। প্রথম ব্...

ঠাকুরমার ঝুলি:অহংকার ওবিনয়ের শিক্ষাIThakurmar Jhuli:A Lesson on Pride an...

হাতী আরপিঁপড়ে -নৈতিক শিক্ষামূলকগল্প Elephant and Ant Moral Story Bengali...

"ঠাকুরমার ঝুলি: অহংকার ও বিনয়ের শিক্ষা"

 "ঠাকুরমার ঝুলি: অহংকার ও বিনয়ের শিক্ষা"   ঠাকুরমার ঝুলির শিক্ষা এক গাঁয়ে বাস করতো ছোট্ট মিঠু । ওর ঠাকুরমা ছিল গল্প বলার ওস্তাদ। সন্ধ্যা হলেই বাড়ির উঠোনে সবাই বসতো আর ঠাকুরমার ঝুলি খুলে যেতো নতুন নতুন গল্পে। একদিন মিঠু বলল, “ঠাকুরমা, আজ এমন একটা গল্প বলো যাতে আমি কিছু শিখতে পারি।” ঠাকুরমা মুচকি হেসে বললেন, "তাহলে শোন, আজ তোমাকে এক রাজকুমারের গল্প বলি।" রাজকুমার ও তার অহংকার এক রাজ্যে ছিলো এক রাজকুমার, অর্জুন । ছোট থেকেই সে ছিল খুব বুদ্ধিমান, কিন্তু এক সময় তার মধ্যে অহংকার এসে যায়। সে ভাবে, “আমি রাজপুত্র, আমি সব জানি, আমাকে কেউ শেখাতে পারবে না।” একদিন রাজ্যে এক ঋষি এলেন। তিনি রাজাকে বললেন, “রাজকুমার অর্জুনকে শিক্ষা দেওয়ার দরকার, নাহলে সে ভুল পথে চলে যাবে।” রাজা সম্মতি দিলেন। ঋষি রাজকুমারকে নিয়ে গেলেন এক বনে। সেখানে তিনি রাজকুমারকে বললেন, “এই গাছটি দেখছো? তোমাকে এর থেকে শিক্ষা নিতে হবে।” রাজকুমার অবাক হয়ে বলল, “গাছ থেকে কী শেখা যায়?” ঋষি হাসলেন, "গাছ কখনও অহংকার করে না, সে সবাইকে ছায়া দেয়, ফল দেয়, অক্সিজেন দেয়। অথচ সে কখনও বলে না, ‘আমি কত বড়!’...
  গল্প: লোভী শিয়াল আর কুমির একদিন, এক লোভী শিয়াল নদীর ধারে ঘুরতে ঘুরতে ভাবছিল, "ইস! যদি একটা ভালো খাবার পেতাম!" ও নদী পার করে ওপর পরে যেতে পারতাম ,সে চারদিকে তাকিয়ে দেখল নদীর জলে কুমির শুয়ে আছে, তার বিশাল দাঁত চকচক করছে। শিয়াল ভাবল, "আমি যদি কুমিরকে বোকা বানাতে পারি, তবে ভালো কিছু খেতে পারব! ও নদী পার করে ওপর পরে যেতে পারব "  মনে মনে একটা মতলব করলো ও সে কুমিরকে বলল, "বন্ধু কুমির, তুমি দেখতে তো অনেক বড়ো, তোমার শক্তিও নিশ্চয় অনেক আছে  তাই ! আমি তোমাকে একটা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই!" কুমির মুচকি হেসে বলল, "হুম! আমি খুবই শক্তিশালী। কী চ্যালেঞ্জ বলো?" শিয়াল ভাই। শিয়াল বলল, "আমি জানতে চাই, নদীতে তোমার কত ভাইবোন আছে! যদি সবাই একসঙ্গে লাইনে দাঁড়াও, তাহলে আমি গুনতে পারব!" তুমরা কি লাইন ধরে দাঁড়াবে। কুমির ভাবল, "এ তো মজার ব্যাপার! আমার শক্তিশালী পরিবারকে দেখানোর দারুণ সুযোগ!"   সে  সুযোগ কি ছাড়া যায় ,সে ডাক দিল সব কুমিরকে।  তারা সবাই নদীতে একসঙ্গে সারি দিয়ে দাঁড়াল। শিয়াল খুশি হয়ে বলল, "দেখো, কুমির ভাই ,আমি তোমাদের গুনছি! এক... দুই... তিন...

খরগোশ আর কচ্ছপBangla Rupkothar Golpoএকটি শিক্ষামূলক গল্প যাশিশুদের ধৈর্য...

শিরোপা ও নীলমিত্রার সুরুতার গল্প

  শিরোপা ও নীলমিত্রার সুরুতার গল্প [সন্ধ্যার সময়, কলকাতার এক ক্যাফেতে] (শিরোপা বসে আছে, এক কাপ কফি হাতে। নীলমিত্র ধীর পায়ে এসে বসে সামনে।) নীলমিত্র: (হাসি দিয়ে) তুমি আজও সময়ের আগে এসেছো? শিরোপা: (মুচকি হেসে) অভ্যাস তো সহজে বদলায় না! নীলমিত্র: (চোখে মায়া) আমি জানি... তাই তো আজও এখানে এসেছি। শিরোপা: (চোখ নামিয়়ে) এত বছর পর হঠাত... মনে পড়লো? নীলমিত্র: মনে পড়েছে বললে ভুল হবে... কখনোই ভুলতে পারিনি। শিরোপা: (দীর্ঘশ্বাস) আমিঃ... কিন্তু জীবন তো আমাদের মতো করে চলে না, তাই না? নীলমিত্র: (হাত বাড়িয়়ে) যদি বলি এবার জীবনকে একটু বদলাতে চাই? শিরোপা: (একটু চুপ থেকে) এত দেরি করে বলছো কেন? নীলমিত্র: (মুচকি হেসে) ভালোবাসা কখনোই দেরি হয় না, শিরোপা। (আস্তে আস্তে তাদের হাত এক হয়ে যায়, ক্যাফের আলো নিভে আসে, আর একটি নতুন গল্প শুরু হয়...) [শেষ]

খরগোশ আর কচ্ছপ - Bangla Rupkothar Golpo

খরগোশ আর কচ্ছপ - Bangla Rupkothar Golpo (একটি শিক্ষামূলক গল্প যা শিশুদের ধৈর্য ও পরিশ্রমের গুরুত্ব শেখাবে।)   "বন্ধুরা! চলুন আজকে একটি দারুণ গল্প শুনি, যেটা আমাদের শেখাবে ধৈর্য আর পরিশ্রমের শক্তি!"   "একসময় এক সুন্দর বনে খরগোশ আর কচ্ছপ বসবাস করত। খরগোশ ছিল খুবই দ্রুতগামী, আর কচ্ছপ ছিল ধীরগতির কিন্তু ধৈর্যশীল।"  একদিন খরগোশ কচ্ছপকে বলল, ‘তুমি এত ধীর গতির! আমার সঙ্গে দৌড়ে দেখাতে পারবে?’ কচ্ছপ মৃদু হেসে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করল।  বনের সব প্রাণী এসে জড়ো হলো দৌড় প্রতিযোগিতা দেখার জন্য। সিগন্যাল দেওয়ার পর খরগোশ ছুটতে লাগল, আর কচ্ছপ ধীরে ধীরে সামনে এগোতে লাগল।"  খরগোশ ভাবল, ‘কচ্ছপ তো অনেক পিছিয়ে আছে, একটু বিশ্রাম নিই।’ সে গাছের নিচে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। আর কচ্ছপ ধীরে ধীরে সামনে এগোতে থাকল।  যখন খরগোশ ঘুম থেকে উঠল, তখন কচ্ছপ প্রায় শেষ লাইন ছুঁই ছুঁই! খরগোশ ছুটে গেল, কিন্তু ততক্ষণে কচ্ছপ জিতে গিয়েছে।  ই গল্প থেকে আমরা কী শিখলাম? অহংকার করলে চলবে না, আর ধৈর্য ও পরিশ্রম করলেই সাফল্য আসবে!  বন্ধুরা, এই গল্পটি যদি তোমাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে লাইক, শেয়ার, আর আমাদের চ...

🐘 হাতী আর পিঁপড়ে - একটি শিক্ষণীয় গল্প | Elephant and Ant Moral Story for...

  চারজন ব্রাহ্মণের গল্প বিক্রম-বেতাল সংকলনের একটি জনপ্রিয় কাহিনি, যা নৈতিক শিক্ষা এবং বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব তুলে ধরে। গল্পের সারাংশ: চারজন ব্রাহ্মণ বন্ধু ছিলেন, যারা একসঙ্গে পড়াশোনা করতেন। তাদের মধ্যে তিনজন খুবই জ্ঞানী ও শাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন, কিন্তু বাস্তবজ্ঞান বা সাধারণ বুদ্ধি তেমন ছিল না। অন্যদিকে, চতুর্থজনের বিদ্যা কম ছিল, কিন্তু তার সাধারণ বুদ্ধি এবং জীবনবোধ ছিল অত্যন্ত প্রখর। একদিন তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, নিজেদের জ্ঞানকে ব্যবহার করে কিছু অসাধারণ করে দেখাবেন। তারা একটি মৃত সিংহের কঙ্কাল খুঁজে পেলেন এবং সেই সিংহকে পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা করলেন। প্রথম ব্রাহ্মণ তার জাদুবিদ্যা ব্যবহার করে কঙ্কালের উপর মাংস ও চামড়া তৈরি করল। দ্বিতীয় ব্রাহ্মণ সেই দেহে রক্তসঞ্চালন করল এবং তা জীবন্ত দেহের মতো করে তুলল। তৃতীয় ব্রাহ্মণ সিংহটিকে প্রাণ সঞ্চার করার জন্য প্রস্তুতি নিল। চতুর্থ ব্রাহ্মণ যখন দেখল যে তার বন্ধুরা এক ভয়ংকর সিংহকে জীবিত করতে চলেছে, সে তাদের সাবধান করল। সে বলল, "তোমরা যা করতে যাচ্ছ, তা বিপজ্জনক। একটি জীবন্ত সিংহ আমাদের সবার জন্যই প্রাণঘাতী হতে পারে।" তবে বাকি তিনজন তার কথা ...
  কিছু জানা অজানা। বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন বাঙালিদের মধ্যে প্রথম গ্র ‍ ্যাজুয়েট। কিন্তু হলে হবে কী, বি.এ. পরীক্ষায় আসলে তিনি ফেল করেছিলেন। তাকে গ্রেস দিয়ে পাশ করানো হয়েছিল। কল্পনা করুন তো, তিনি কোন পেপারে ফেল করেছিলেন? কোন পেপারে তাকে গ্রেস দিয়েছিল? তিনি ফেল করেছিলেন বাংলায়। যে বঙ্কিমচন্দ্রের বাংলা পড়তে গিয়ে আমরা উঠতে-বসতে ফেল করি তিনি সেই বাংলাতেই ফেল! ভাবা যায়? সেই পরীক্ষায় তার একজামিনারের নাম শুনলে হয়তো আরো অবাক হবেন- একজামিনার ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। হয়তো এই আহত মর্যাদার জন্যে বঙ্কিমচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে অবচেতন মনে কোনোদিন ক্ষমা করতে পারেননি। বিদ্যাসাগর বিধবা আন্দোলন শুরু করলে তিনি তার বিরুদ্ধতা করেছিলেন। বিধবা বিয়ের বিষময় ফল কী হতে পারে তা দেখানোর জন্যে 'কৃষ্ণকান্তের উইল' উপন্যাস লিখেছিলেন। আসল কথায় আসি সেবার বি.এ. পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনজন, তিনজনই ফেল করেছিলেন। বঙ্কিম হয়েছিলেন ফেলের মধ্যে ফার্স্ট। এভাবেই বাঙালির ইতিহাসে তিন প্রথম গ্রাজুয়েট হবার গৌরব অর্জন করেছিলেন। এখন প্রশ্ন- কেন বঙ্কিমের মতো এমন প্রতিভাবান একজন মানুষ এমন সহজ একটি বিষয়ে ফেল করেছিলেন? এর উত্তর কঠিন নয়...

এখানে একটি জনপ্রিয় গল্প তুলে ধরা হলো: গল্প: সৎপত্নী ও কপালপাত্র

  এখানে একটি জনপ্রিয় গল্প তুলে ধরা হলো: গল্প: সৎপত্নী ও কপালপাত্র একদিন বিক্রমাদিত্য শ্মশানে বেতালকে নিয়ে চললেন। বেতাল তার অভ্যাসমতো গল্প বলা শুরু করল। এক গ্রামে ছিল এক দারিদ্র্যপীড়িত ব্রাহ্মণ। তার এক সুন্দরী স্ত্রী ছিল। একদিন সেই ব্রাহ্মণ কাজের সন্ধানে অন্য গ্রামে গেল। স্ত্রী একা বাড়িতে থাকত। তার রূপ দেখে গ্রামের এক দুষ্ট লোক তাকে ভুল পথে চালানোর চেষ্টা করল। কিন্তু সেই স্ত্রী সততার প্রতীক ছিল। সে তাকে প্রত্যাখ্যান করল। পরদিন, সেই লোক ক্রোধে মহল্লায় প্রচার করল যে ব্রাহ্মণের স্ত্রী খারাপ। এই অপবাদ শুনে ব্রাহ্মণের স্ত্রী অপমানিত বোধ করল। নিজের সতীত্ব প্রমাণের জন্য সে সিদ্ধান্ত নিল, সে তার স্বামীর সামনে নিজেকে প্রমাণ করবে। একদিন ব্রাহ্মণ বাড়ি ফিরে এলে স্ত্রী তাকে সব জানিয়ে বলল, "তুমি যদি মনে করো আমি খারাপ, তবে আমাকে ছেড়ে দাও।" ব্রাহ্মণ জানাল, "আমি তোমার সতীত্ব জানি।" গল্পের শেষে বেতাল প্রশ্ন করল: "রাজা, বলো, এই পরিস্থিতিতে ব্রাহ্মণ স্ত্রীকে কি করা উচিত ছিল?" বিক্রমাদিত্য উত্তরে বললেন: "স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত ছিল, তার কাজের জন্য তাকে সম...

চতুর খরগোশ ও বোকা সিংহ | পাঁচতন্ত্রের নীতিকথা | শিশুদের জন্যThe Clever R...

চতুর খরগোশ ও বোকা সিংহ | পাঁচতন্ত্রের নীতিকথা | শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক গল্প

 চতুর খরগোশ ও বোকা সিংহ | পাঁচতন্ত্রের নীতিকথা | শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক গল্প   চতুর খরগোশ ও বোকা সিংহ একদিন গভীর জঙ্গলে এক নিষ্ঠুর ও শক্তিশালী সিংহ বাস করত। তার নাম ছিল বিক্রম। সে ছিল জঙ্গলের রাজা, কিন্তু খুবই লোভী। প্রতিদিন সে অনেক পশুকে শিকার করত। এতে জঙ্গলের সব প্রাণী ভয়ে কাঁপত। একদিন সব প্রাণী একত্র হয়ে একটি সমাধান খুঁজতে লাগল। এক বুদ্ধিমান শেয়াল বলল, "আমরা রাজাকে প্রস্তাব দিই, প্রতিদিন তার খাবারের জন্য একটি প্রাণী পাঠাব, যাতে সে অপ্রয়োজনে শিকার না করে।" সিংহ রাজি হল, তবে শর্ত দিল, "যদি প্রতিদিন আমার কাছে একটি প্রাণী না আসে, তবে আমি তোমাদের সবাইকে মেরে ফেলব!" এরপর প্রতিদিন একটি করে প্রাণী সিংহের খাবার হিসেবে পাঠানো হতে লাগল। কিছুদিন পর, এক বুদ্ধিমান খরগোশের পালা এল। সে মরতে চায়নি, তাই একটি চালাক পরিকল্পনা করল। সে ইচ্ছে করে অনেক দেরি করে সিংহের কাছে পৌঁছাল। রাগে গর্জে উঠে সিংহ বলল, "এতো দেরি করলে কেন?" খরগোশ ভদ্রভাবে বলল, "মহারাজ, আমি যথাসময়ে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু পথে আরেকটি সিংহ আমাকে থামিয়ে বলল যে সে-ই এই জঙ্গলের প্রকৃত রাজা!" এ কথ...

🦁 সিংহ ও ইঁদুর 🐭ঠাকুরমার ঝুলি থেকে নীতিশিক্ষামূলক গল্প

🦁 সিংহ ও ইঁদুর 🐭 ঠাকুরমার ঝুলি থেকে নীতিশিক্ষামূলক গল্প

  🦁 সিংহ ও ইঁদুর 🐭 ঠাকুরমার ঝুলি থেকে নীতিশিক্ষামূলক গল্প   একদা এক গভীর জঙ্গলে এক বিশাল সিংহ বাস করত। সে ছিল বনের রাজা, সমস্ত প্রাণী তার ভয়ে কাঁপত। একদিন দুপুরবেলা রাজা সিংহ খেয়ে দেয়ে এক গাছের ছায়ায় ঘুমিয়ে পড়ল। এমন সময়, এক ছোট্ট ইঁদুর তার গর্ত থেকে বেরিয়ে এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছিল। খেলার ছলেই সে ভুলবশত সিংহের গায়ের উপর চড়ে গেল। এতে সিংহের ঘুম ভেঙে গেল। 😡 ⚡ গর্জন করে সে ইঁদুরটিকে ধরে ফেলল এবং রাগান্বিত স্বরে বলল, 👉 "দুষ্ট ইঁদুর! তুমি এত সাহসী হলে যে আমায় বিরক্ত করছ? এখন আমি তোমাকে খেয়ে ফেলব!" ইঁদুরটি ভয়ে কাঁপতে লাগল এবং হাতজোড় করে বলল, 🙏 "মহারাজ, দয়া করুন! আমি খুবই ছোট্ট আর অসহায়। দয়া করে আমাকে মুক্ত করুন। আমি একদিন আপনার উপকারে আসব!" সিংহ হেসে বলল, 😆 "তুমি এত ছোট একটা প্রাণী! তুমি আবার কীভাবে আমার উপকার করবে?" তবুও, সিংহ দয়ালু হয়ে ইঁদুরটিকে মুক্ত করে দিল । ইঁদুর আনন্দে লাফিয়ে গিয়ে বলল, 🐭 "আপনার এই দয়ার প্রতিদান আমি একদিন দেব, মহারাজ!" ⏳ কিছুদিন পর... সিংহ একদিন বনের মধ্যে শিকারের সন্ধানে ঘুরছিল। হঠাৎ সে এক শিকার...

পঞ্চতন্ত্রের গল্প | শিয়ালওসারসের বুদ্ধির লড়াই |Bengali Moral Story for...

🔹 পঞ্চতন্ত্রের গল্প | শিয়াল ও সারসের বুদ্ধির লড়াই | Bengali Moral Story for Kids

 🔹 পঞ্চতন্ত্রের গল্প | শিয়াল ও সারসের বুদ্ধির লড়াই | Bengali Moral Story for Kids একটা সময়ের কথা… এক সুন্দর গ্রামে থাকত এক চালাক শিয়াল আর এক বুদ্ধিমান সারস। কিন্তু একদিন, শিয়ালের চালাকি সারসের সামনে ধরা পড়ে গেল! কীভাবে? সেটা জানার জন্য আমাদের সাথে থাকুন এই মজাদার পঞ্চতন্ত্রের গল্পে!" এই গল্প আমাদের শেখাবে যে অন্যকে যেমন ব্যবহার করবো, তেমনই প্রতিদান পাবো! তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক – শিয়াল ও সারসের বুদ্ধির লড়াই! এক গ্রামে এক চালাক শিয়াল বাস করত। সে খুব ধূর্ত ছিল এবং অন্যদের বোকা বানিয়ে মজা নিতে ভালোবাসত। একদিন সে তার বন্ধু সারসকে নেমন্তন্ন করল এবং বলল, "বন্ধু, আজ তুমি আমার বাড়িতে এসো, আমি নিজে রান্না করে খাওয়াব।" সারস আনন্দিত হল এবং ঠিক সময়ে শিয়ালের বাড়িতে এল। শিয়াল পাতলা ও তরল সুপ রান্না করল এবং সেটি একটি চওড়া থালায় পরিবেশন করল। শিয়াল নিজে সহজেই সুপ খেতে লাগল, কিন্তু সারস তার লম্বা ঠোঁটের জন্য একটুও খেতে পারল না। সে খুব দুঃখ পেল, কিন্তু কিছু বলল না। শিয়াল মজা পেয়ে মনে মনে হাসল। পরের দিন সারস শিয়ালকে তার বাড়িতে নেমন্তন্ন করল। সে সুপ রান্না করল, কিন...

সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া পাপ পুরাণ কি বলে?কিন্তু এর পিছনের রহস্য কী?

সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া নাকি পাপ । কুল না খাওয়ার এই মিথ রয়েছে পুরাণে । পুরাণ মতে দেবী সরস্বতীকে তুষ্ট করতে বদ্রিকাশ্রমে তপস্যা করার সিধান্ত নেন মহামুনি ব্যাসদেব । কিন্তু তপস্যা শুরু করার আগেই দেবী তাকে একটি শর্ত দেন । একটি কুল বীজ রেখে , তিনি বলেন , এই বীজ থেকে গাছ হয়ে ফল হবে । সেই কুল যেদিন ব্যাসদেবের মাথা য় পড়বে সেদিন তিনি সন্তোষ্ট হবেন এবং মহামুনি ব্যাসদেব এর তপস্যা সম্পূর্ণ হবে । শর্ত মেনে তপস্যা শুরু করেন ব্যাসদেব । তারপর সেই বীজ থেকে গাছ হল , গাছে ফুল ধরল ও কুল পেকে তা একদিন ব্যাসদেব এর মাথায় পড়ল । ঘটনা চক্রে সেদিনটি ছিল পন্চমী । সরস্বতীর আর্চনা য় মুনি কুল ফল নিবেদন করেন । জনশ্রুতি আছে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর প্রসাদ হিসেবে মরসুমের প্রথম কুল খাওয়া হয়েছে । তাই সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া নাকি পাপ ।

মধুসূদন ইচ্ছা করেই একটু ঠেস দিয়ে বললেন, 'বাংলা ভাষায় আবার কাব্য!' @Words...

একদিন মাইকেল মধুসূদন দত্ত কলকাতার এক বাজারে হাঁটছিলেন। সেই সময়ে তিনি মেঘনাদ বধ কাব্য লিখে সাহিত্য সমাজে অত্যন্ত সমাদৃত । বাজারে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ খেয়াল করলেন, এক দোকানদার খুব মনোযোগ দিয়ে মেঘনাদ বধ কাব্য পড়ছেন। মধুসূদন দত্ত এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, 'কী পড়ছেন?' দোকানদার উত্তর দিল, 'একটি কাব্য।' মধুসূদন ইচ্ছা করেই একটু ঠেস দিয়ে বললেন, 'বাংলা ভাষায় আবার কাব্য!' দোকানদার বললেন, 'মেঘনাদবধ কাব্য একটি জাতির ভাষাকে গৌরবময় করতে পারে। ও আপনি বুঝবেন না!' মধুকবিকে জন্মদিনের প্রণাম । তথ্য : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "সেই সময় " বই