সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দৈহিক দুঃখ কি পাপের ফল? | শ্রীশ্রীরামঠাকুরের বেদবাণী থেকে চিরন্তন সত্য"

  দৈহিক দুঃখ কি পাপের ফল? | শ্রীশ্রীরামঠাকুরের বেদবাণী থেকে চিরন্তন সত্য" "সংসারে জড়িত প্রতিটি দুঃখ কি শুধুই পাপের ফল? শরীরের রোগ, মনোর দুর্দশা, সংসারের টানাপোড়েন — এগুলো কি পূর্বজন্মের শাস্তি? না কি এই সবের পিছনে আছে অন্য কোনো আধ্যাত্মিক সূত্র? আসুন শুনি শ্রীশ্রীরামঠাকুরের অমৃত বাণী থেকে বেদবাণীর এক অলৌকিক ব্যাখ্যা।" পাপ পূণ্য দ্বারা জীবের আরোগ্য অনারোগ্যতা ঘটে না। প্রারব্ধজনিত নিয়ম অনিময়তা বশত:ই জীবের শরীরে ভোগ হয়। পূর্ব্বকৃত পাপহরণ হইলেও দৈহিক ভোগের নিবর্ত্তন হয় না। সংসারই পরম ধর্ম্ম, সত্যই পরমানন্দ আশ্রয়। অতএব নিরপেক্ষ-ভাবে পরমানন্দ লাভ করিয়া জীব দ্বন্দ্ব হইতে মুক্ত হইয়া থাকে। পূর্ব্বজন্মার্জ্জিত পূর্ব্ব অবস্থার্জ্জিত [?] যাহা পাপ ঘটিয়াছিল তাহাই হরণ হইয়াছে। দৈহিক প্রারব্ধকৃত সুখদু:খাদি ভোগের দণ্ড ভিন্ন হরণ ত হইতে পারে না, তাহার অনেক প্রমাণ দেবাদি বেদপুরাণে প্রকাশ আছে। 🎙️ Narrator Explanation (সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা): জীবের রোগ বা আরোগ্যতা, সুখ বা দুঃখ — সবই নির্ধারিত হয় তার প্রারব্ধ অনুযায়ী। পাপপুণ্য এর মূল নিয়ামক নয়। আগে করা কর্মের ভিত্তিতেই জীব দ...
  শিক্ষণীয় গল্প: একজন বয়স্ক মহিলার দুটি বড় পাত্র ছিল, যা তার কাঁধের বাকের দুই প্রান্তে ঝোলানো ছিল। একটি পাত্রের মধ্যে সূক্ষ্ম একটি ফাটল ছিল কিন্তু অন্য পাত্রটি ছিল নিখুঁত এবং নদী থেকে জল আনার সময় একটি পাত্র পুরোপুরি জলে ভর্তি থাকতো অপরটি অর্ধেক জল পূর্ণ থাকত। পুরো দুই বছর ধরে,এভাবেই ভদ্রমহিলা দেড় পাত্র জল নিয়ে ঘরে ঢুকতেন। অবশ্যই, নিখুঁত পাত্র তার পূর্ণতার জন্য গর্বিত ছিল কিন্তু বেচারা পটকা পাত্র নিজের অপূর্ণতার জন্য লজ্জিত ছিল এবং তার মনে দুঃখ ছিল যে পুরো জল কখনোই বহন করতে পারে না। দুই বছর পর খুঁত যুক্ত পাত্রটি বৃদ্ধার কাছে খুব দুঃখ করে বলল-আমি সত্যি সত্যি নিজে নিজের অক্ষমতার জন্য লজ্জিত। আমার যা করা উচিত ছিল আমি সেটা কখনোই করে উঠতে পারি না। আমার ভেতর একটা ফাটল আমাকে আমার কাজ করতে দেয় না। বৃদ্ধা মুচকি হেসে বললেন, 'আচ্ছা খেয়াল করেছ,তোমাকে যে রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসা হয় সেই রাস্তার পাশে কত ফুলের সারি! আমি তোমার ত্রুটি জানি, যে স্থান দিয়ে তোমাকে আনা হয় সেখানে আমি কিছু ফুলের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছি, সেখান থেকে গাছ হয়ে ফুল জন্মেছে। পথের পাশের ওই ফুল গুলিকে তুমি নিজের অজান্তে প্রতি...

"শুভ্রা ও কণার বন্ধুত্ব: এক শিক্ষামূলক বনজ গল্প"

  "শুভ্রা ও কণার বন্ধুত্ব: এক শিক্ষামূলক বনজ গল্প" Intro Script (Narration Opening): (সৌম্য, শান্ত সুরে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের সাথে) "একটি গভীর বন, শান্ত নদীর পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রাচীন বটগাছ। সেই গাছে বাস করে এক সাদা কবুতর—নাম তার শুভ্রা। আর নদীর তীরে বাস করে এক ক্ষুদে, সাহসী পিঁপড়ে, যার নাম কণা। আজ আমরা শুনব এক অনন্য বন্ধুত্বের গল্প, যেখানে ছোট একটি সহায়তা হয়ে উঠেছিল জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার। এই গল্প শুধু শিশুদের জন্য নয়—এটি আমাদের সকলকে শেখায় ভালোবাসা, সহানুভূতি ও বন্ধুত্বের মূল্য।"  একদা এক গভীর বনের পাশে একটি শান্ত নদী প্রবাহিত ছিল। নদীটির তীরে ছিল একটি বিশাল বটগাছ, যার ডালপালা নদীর উপর ঝুঁকে ছিল। এই গাছে বাস করত একটি সাদা কবুতর, যার নাম ছিল শুভ্রা। শুভ্রা ছিল মিষ্টভাষী ও দয়ালু স্বভাবের, তাই বনের অন্যান্য প্রাণীরাও তাকে ভালোবাসত। একদিন শুভ্রা গাছের ডালে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করছিল। হঠাৎ তার নজরে পড়ল একটি ছোট্ট পিঁপড়ে, যা নদীর তীরে পানি পান করতে এসেছিল। পিঁপড়েটির নাম ছিল কণা। কণা ছিল পরিশ্রমী ও সাহসী, কিন্তু সেদিন তার জীবনে একটি বিপদ অপেক্ষা করছিল। ...
  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা অধ্যায় ৬ – ধ্যানযোগ শ্লোক ৩৪ (শ্লোক সংখ্যাঃ ৬.৩৪) সংস্কৃত শ্লোকঃ चञ्चलं हि मनः कृष्ण प्रमाथि बलवद् दृढम्। तस्याहं निग्रहं मन्ये वायोरिव सुदुष्करम्॥ উচ্চারণ (Uccharan): Chanchalam hi manah Krishna pramathi balavad dridham | Tasyaham nigraham manye vayor iva sudushkaram || বাংলা অনুবাদঃ হে কৃষ্ণ! মনটি সত্যিই অস্থির, প্রচণ্ডভাবে উদ্দীপ্ত ও শক্তিশালী এবং কঠিন। আমি মনে করি, এই মনকে নিয়ন্ত্রণ করা বায়ুকে বশ করা যত কঠিন, ততটাই কঠিন। ভাবার্থ (ভক্তিভাবে ব্যাখ্যা): অর্জুন বলছেন, "হে কৃষ্ণ, আমার মন এতটাই চঞ্চল ও অস্থির যে, আমি এটিকে আয়ত্তে আনা অসম্ভব মনে করি। যেমন প্রবল বায়ুকে হাতে ধরা যায় না, তেমনি এই মনও ধরা-নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত দুরূহ।" এটি যোগ অভ্যাসে মনের অস্থিরতা নিয়ে অর্জুনের উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং গীতার মনোসংযম বিষয়ক গভীর তত্ত্বকে সামনে আনে।
  শ্রীশ্রীরামঠাকুরের লীলানুধ্যান:-- *জনৈক ভদ্রলোক যৌবনে সস্ত্রীক কুলগুরুর নিকট দীক্ষা নেন। কলকাতা এসে তিনি বন্ধুদের ইচ্ছায় অন্য এক গুরুর নিকট দীক্ষা নেন এবং অন্য মন্ত্ৰ পান। এতেও তার আশা মিটল না। এরপর অন্য কয়েক বন্ধুর সঙ্গে পুরী বেড়াতে গেলেন। সেখানে এক সাধু দর্শনে তাঁর প্রাণ দীক্ষার জন্য ব্যাকুল হয়। সুতরাং সাধুটির কাছে আবার দীক্ষা নিলেন। কিছুদিন পর কোন কার্য্যবশত: তিনি কাশী গিয়েছিলেন। অন্য এক নামী সাধুবাবা তাকে স্বেচ্ছায় দীক্ষা প্রদান করলেন এবং চার নম্বর গুরু হলেন। লোকটি যে এতজন গুরুর নিকট পর পর মন্ত্ৰ নিয়ে এসেছেন একথা কিন্তু পরিবারের কাউকে জানতে দিলেন না। কিন্তু ভদ্রলোকের মনে তৃপ্তি ও শান্তি নেই। চারজন গুরুর চার রকম মন্ত্ৰ তাকে যেন অবিরাম অশান্তির আগুনে পুড়িয়ে মারছে। এমন অবস্থায় তিনি এলেন ঠাকুরের কাছে। সমস্ত ঘটনা বিবৃত করে ঠাকুরের চরণ তলে পতিত হলেন। ঠাকুর বললেন, "আমি কি করব, আপনার নাম ত আমার কাছে নাই।" লোকটিও নাছোড়বান্দা, ঠাকুরের পা দুটি কিছুতেই ছাড়ছেন না। হঠাৎ ঠাকুর একটি নাম উচ্চারণ করলেন। ভদ্রলোক চমকে উঠলেন। বললেন, "এই নামই ত আমি ও আমার স্ত্রী আমাদের কুলগুরুর নিকট পে...
  মাকড়সার ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। শত শত ক্ষুদে বাচ্চা। ক্ষুদার্থ বাচ্চাগুলোর পৃথিবীতে আসার পরই খাদ্যের দরকার হয়। কিন্তু মা মাকড়সা বাচ্চাদের ছেড়ে খাবার আনতে যেতে পারেনা এই ভয়ে যে কেউ এসে বাচ্চার কোন ক্ষতি যদি করে। নিরুপায় মা মাকড়সা শেষমেশ নিজ দেহটাকে বাচ্চাদের খাদ্য বানায়। বাচ্চারা খুটে খুটে মায়ের দেহ খেয়ে একসময় চলে যায় যার যার পথে। পেছনে পড়ে থাকে মায়ের শরীরের খোলস।। মা... . জাপানের ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময়ের কথা। উদ্ধারকর্মীরা একটি ভেঙ্গে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত কাউকে উদ্ধারের আশায় এসেছে। এ সময় বাড়িটির ভেতরে একটা ভেঙ্গে পড়া কংক্রিটের নীচে এক মহিলার মৃতদেহ দেখতে পায় তারা। মহিলাটির পিঠের উপর সিমেন্টের কংক্রিটটি পড়েছে। মহিলাটি হাটু গেরে মাটিতে উবু হয়ে বসে আছেন। যেন কংক্রিটের আঘাত থেকে কিছুকে আড়াল করে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন মহিলা। রেসকিউ টিম কংক্রিট কেটে মহিলার মৃতদেহ উপর করলে ভেতরে পাওয়া যায় এক বছর বয়সী এক বাচ্চা। ফুটফুটে বাচ্চা। মা সন্তান কে রক্ষার জন্য এভাবেই সন্তানকে ঢেকে উবু হয়ে রয়েছিলেন যাতে কংক্রিট ভেঙ্গে মায়ের পিঠে পড়ে। সন্তান যাতে তবুও বাঁচে।। মা... . শহরের কোন এক বৃদ...
  জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা কি যা তোমার জীবন থেকে তুমি শিখেছো? ১। কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করো না বিশেষ করে কান্নারত কোন নারীকে । ২। কারো কাছ থেকে টাকা নেওয়া বা দেওয়া থেকে দূরে থাকুন এমনকি ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছে থেকে। ৩। খুব সতর্কভাবে জীবন সঙ্গী খুজে বের করূন। কথা দেওয়ার আগে নিজের সাথে কতটুকু মানিয়ে নেওয়া যাবে সেটা নিশ্চিত হোন। ৪। সম্পর্ক একেবারে খাঁটি না হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত জীবন সংগীকে পরিবারের কারো সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত না। ৫। একা বাস করতে শিখুন। আশে পাশের মানুষ যেকোন সময় পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে বা চলে যেতে পারে। ৬। আপনার মুল্যবান সময় শুধু আপনার উপর ব্যয় করুন এমন মানুষের উপর না যারা মুল্যহীন । ৭। বিশ্বাসঘাতক বা চিটার এর সাথে আবার নিজের জীবনকে জড়িয়ে নিবেন না কারণ তারা আবার সেইম কাজ করবে। কারণ এগুলো তার চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য । ৮। আপনার গোপনীয় জিনিস ও আর্থিক অবস্থা গোপন রাখুন। অন্যরা জানলে তা অপব্যবহার করতে পারে। ৯। যারা লয়াল না এমন মানুষকে আপনি ক্ষমতা দিয়েন না বা শুদ্ধ করার চেষ্ঠা কইরেন না। ১০। কেউ যদি আপনাকে অসম্মান করে তার কাছ থেকে আপনি দূরে চলে যান এমনকি সে যদি আপনার পারিবারিক কেউ ...
  এক নদীর ধারে একটা জাম গাছ ছিল। সেই গাছে এক বুদ্ধিমান বানর থাকত। সে প্রতিদিন পাকা মিষ্টি জাম খেত আর খুব আনন্দে দিন কাটাত। একদিন, একটি কুমির নদীর তীরে এল। বানর কুমিরটিকে দেখে বলল, “ভাই কুমির, এসো না, কিছু পাকা জাম খাও!” কুমির জাম খেলো, খুব মজা পেল। তারপর সে প্রতিদিন জাম খেতে আসতে লাগল। এভাবে দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেল। একদিন কুমির তার স্ত্রীকে জাম খেতে দিল। স্ত্রী বলল, “আরে! যদি এই জাম এত মিষ্টি হয়, তাহলে যে বানর জাম খায় তার হৃদয় নিশ্চয়ই অনেক মিষ্টি! আমি সেই বানরের হৃদয় খেতে চাই!” কুমির প্রথমে রাজি হচ্ছিল না, কিন্তু স্ত্রীর জেদে একদিন বানরকে বলল, “চলো বন্ধু, আজ আমাদের বাড়িতে যাবে, তোমার জন্য সুন্দর আমন্ত্রণ!” বানর আনন্দে রাজি হয়ে গেল। কুমিরের পিঠে চড়ে নদী পার হতে শুরু করল। কিন্তু মাঝ নদীতে কুমির বলল, “বন্ধু, সত্যি কথা বলি—তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি, কারণ আমার স্ত্রী তোমার হৃদয় খেতে চায়!” বানর চুপচাপ শুনল, তারপর বলল, “তাহলে তো খুব মুশকিল হয়েছে! আমি তো আমার হৃদয় গাছে রেখে এসেছি! যদি বলতে, আমি নিয়ে নিতাম!” কুমির বলল, “তাহলে চল, ফিরে যাই। তুমি হৃদয় নিয়ে এসো।” কুমির তাকে গ...
  একবার এক রাজা তার তিন মন্ত্রীকে ডেকে বললেন, এই নাও তোমাদের একটা করে খালি বস্তা দিলাম। তোমাদের কাজ হলো বনে গিয়ে নানা রকম ফল কুড়িয়ে এই বস্তা ভরে নিয়ে আসা! দেখি কে কত তাড়াতাড়ি বস্তা পূর্ণ করে নিয়ে আসতে পারো। ১ম মন্ত্রী চিন্তা করল, রাজার আদেশ, তাই ভালো ভালো ফল কুড়িয়ে বস্তা পূর্ণ করা উচিত। সেই মতো সে জঙ্গলের সবচেয়ে সুস্বাদু ফলগুলো কুড়িয়ে বস্তায় ভরে ফিরে এলো। ২য় মন্ত্রী চিন্তা করল, রাজা তো আর সব ফল দেখবেন না! তাই সে অনেকগুলো পচা ফল নিচের দিকে রেখে, উপরে অল্প কিছু ভালো ফল বিছিয়ে বস্তা পূর্ণ করল এবং ফিরে এলো। ৩য় মন্ত্রী চিন্তা করল, রাজার এতো সময় কোথায় বস্তা খুলে খুলে দেখবে, তিনি শুধু দেখবেন বস্তা পূর্ণ হয়েছে কিনা। তাই সে জঙ্গলের মরা পাতা, ঘাস, কাঠ এসব দিয়ে বস্তা পূর্ণ করে নিয়ে এলো। তিন মন্ত্রী যথাসময়ে রাজার দরবারে হাজির। রাজা সবার বস্তা পূর্ণ দেখে খুশি হলেন, কিন্তু বস্তাগুলো খুলেও দেখলেন না।৩য় মন্ত্রী নিজের বুদ্ধির কথা চিন্তা করে মনে মনে হাসতে লাগল। রাজা একটু সময় নিয়ে তার মসনদে বসলেন এবং ঘোষণা করলেন, এই তিন মন্ত্রীকে তাদের বস্তা সহ ৭ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হোক এবং প্রত্যেককে তি...
  একটি মা হরিণের সন্তান জন্মদানের সময় উপস্থিত হলো। এজন্য সে বনের এক ধারে নদীর পাশে ঘাস জমিতে সুন্দর একটি জায়গা খুঁজে বের করল। কিছু সময় পর তার প্রসব বেদনাও উঠল। কিন্তু বিধি বাম! চারপাশ থেকে ধেয়ে এলো একের পর এক বিপদ। আকাশ কালো করে মেঘ জমল, চারদিকে বড় বড় বাজ পড়তে লাগলো, সেই বাজ থেকে জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়ল আগুন! হরিণটি দেখতে পেল কিছুটা দূরে একটি ক্ষুধার্ত সিংহ তার দিকেই এগিয়ে আসছে! অন্য পাশ থেকে এক শিকারী তার দিকেই তীর নিশানা করায় ব্যস্ত! সামনে আগুনের লেলিহান শিখা, পিছনে উত্তাল নদী, ডানে ক্ষুধার্ত সিংহ, বামে নিষ্ঠুর শিকারী। ঝুঁকি সব দিকেই রয়েছে এবং উদ্ধারের আর কোনো পথ খোলা নেই! হরিনীটি চুপচাপ কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে ভাবল। তারপর সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল সে তার সন্তান জন্ম দেবে, বিপদ আপদ যদি ঘটে, ঘটুক! সেটির দায়িত্ব সে বিশ্বাসী মনে চোখ বন্ধ করে মহান সৃষ্ঠিকর্তার হাতে ছেড়ে দিল। এরপর কয়েকটি অবিশ্বাস্য ঘটনা পর পর ঘটে গেল। একটি ভয়াবহ বজ্রপাত শিকারীকে কিছুক্ষণের জন্য অন্ধ করে দিল। তার লক্ষ্যভ্রষ্ট তীর গিয়ে বিঁধল সিংহের গায়ে। আকাশ থেকে নেমে এলো ভারী বৃষ্টি। ফলে আগুন নিভে বনভূমি শান্ত হয়ে ...
  "বাংলার বাঘ" আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের শিক্ষা ও শ্রদ্ধার এক গল্প | Kotha O Golpo Podcast EP – XX 🌅 INTRO: 🎵 [হালকা রবীন্দ্রসংগীতের ইনস্ট্রুমেন্টাল সুর বাজতে থাকে] "স্বাগত জানাই আপনাদের — কotha O Golpo পডকাস্টে, যেখানে গল্প শোনাই হৃদয়ের, ইতিহাসের, মানুষের... আজকের গল্প এক কিংবদন্তির — বাংলার গর্ব, ছাত্রদের পিতৃসম আশ্রয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এক অমলিন নাম — স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের বাস্তব শিক্ষা থেকে উঠে আসা এক অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা…" 📖 MAIN SCRIPT: 📚 পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রখ্যাত অধ্যাপক — গৌরীশঙ্কর দে মশাই অঙ্কের প্রশ্নপত্র তৈরি করে পৌঁছে গিয়েছেন সোজা ভাইস চ্যান্সেলরের বাড়ি। তিনি সেই কাগজ তুলে দিলেন বাংলার বাঘ, স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের হাতে। স্যার কাগজটা একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে গম্ভীর হয়ে গেলেন। বললেন, “গৌরীবাবু, আপনার হাতে ঘন্টা আড়াই সময় আছে তো?” গৌরীবাবু একটু অবাক হয়ে বললেন, “আজ্ঞে আছে স্যার, কেন?” স্যার বললেন — “আমি স্নানটা সেরে আসি, আপনি এই প্রশ্নপত্রের অঙ্কগুলো একটু কষে ফেলুন।” 🌿 স্যারের আদেশ! গৌরীবাবু ...
  অনেক বছর আগের ঘটনা, একবার এক চাষী তার বাড়ির উঠোনে বসে বিশ্রাম করছিলেন। এমন সময় তার একমাত্র ছেলে ছুটে আসে এবং বাবাকে খবর দেয়, যে রাস্তার ধারের পুকুরে একটি ছেলে ডুবে যাচ্ছে। শুনে চাষী তৎক্ষণাৎ পুকুরের কাছে পৌঁছায়। গিয়ে দেখে তার ছেলের বয়সী একটি ছেলে জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। পোশাক পরিচ্ছদ দেখে কোন শহরের ধনীর দুলাল বলে মনে হচ্ছে। সাথে বেশ কিছু বন্ধু বান্ধব থাকলেও তারা সাঁতার না জানায় পারে দাঁড়িয়ে বন্ধুর সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে। চাষী আর একমুহূর্ত সময় নষ্ট না কোরে জলে ঝাপিয়ে পরে এবং ছেলেটিকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনার দিন দুয়েক পর হঠাৎ একদিন গ্রামের পথে ধুলো উড়িয়ে এক ঘোড়ায় টানা সুসজ্জিত গাড়ি, আগে পিছু অস্ত্রধারী অশ্বারোহী নিয়ে চাষীর বাড়ির সামনে এসে থামলো। চাষী কিছুটা ভয় পেয়েছিল বৈকি। এরপর গাড়ি থেকে যে ব্যক্তি নেমে এলেন তার ব্যক্তিত্ব তার ঐশ্বর্যের পরিচয় বহন করে কিন্তু তার মুখের স্মিত হাসি চাষীকে কিছুটা আস্বস্ত করেন। তিনি স্মিত হেসে বলেনঃ--- "আপনি সেই মহানুভব যিনি আমার একমাত্র ছেলের জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন?" কৃষক মৃদু হেসে বললেনঃ--- "আজ্ঞে হ্যা।" সেই ব্যক্তি এরপর গরিব চাষীর হাত ধরে ...
  টুনটুনি আর রাজার কথা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী রাজার বাগানের কোণে টুনটুনির বাসা ছিল। রাজার সিন্দুকের টাকা রোদে শুকোতে দিয়েছিল, সন্ধ্যার সময় তাঁর লোকেরা একটি টাকা ঘরে তুলতে ভুলে গেল। টুনটুনি সেই চকচকে টাকাটি দেখতে পেয়ে তার বাসায় এনে রেখে দিল, আর ভাবল, 'ইশ! আমি কত বড়লোক হয়ে গেছি। রাজার ঘরে যে ধন আছে, আমার ঘরে সে ধন আছে!' তারপর থেকে সে খালি এই কথাই ভাবে, আর বলে— 'রাজার ঘরে যে ধন আছে, টুনির ঘরে সে ধন আছে।' রাজা তাঁর সভায় বসে সে-কথা শুনতে পেয়ে জিগগেস করলেন, 'হ্যারে। পাখিটা কী বললে রে?' সকলে হাতজোড় করে বলল, 'মহারাজ, পাখি বললে, আপনার ঘরে যে ধন আছে, ওর ঘরেও নাকি সেই ধন আছে!! শুনে রাজা খিলখিল করে হেসে বললেন, 'দেখ তো ওর বাসায় কী আছে।' তারা দেখে এসে বলল, 'মহারাজ, বাসায় একটি টাকা আছে।' শুনে রাজা বললেন, 'সে তো আমারই টাকা, নিয়ে আয় সেটা।' তখুনি লোক গিয়ে টুনটুনির বাসা থেকে টাকাটি নিয়ে এল। সে বেচারা আর কী করে, সে মনের দুঃখে বলতে লাগল— 'রাজা বড় ধনে কাতর টুনির ধন নিলে বাড়ির ভিতর!' শুনে রাজা আবার হেসে বললেন, 'পাখিটা তো বড় ঠ্যাঁটা রে। যা, ওর ...
  "নরহরি দাস | Upendrakishore Golpo | Bengali Moral Story for Kids | Kotha O Golpo Podcast EP02" 🧾 INTRO SCRIPT: 🎵 [স্নিগ্ধ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক] 🎙️ (Narrator Voice) "স্বাগত সবাইকে — ‘কথা ও গল্প পডকাস্ট’-এর দ্বিতীয় পর্বে। আজ আমরা শুনবো উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা একটি দারুণ মজার ও শিক্ষামূলক গল্প — ‘নরহরি দাস’। গল্পে আছে ছাগলছানার বুদ্ধি, বাঘ-শিয়ালের মজার দৌড়, আর এক দারুণ শিক্ষা! তাহলে চলুন, গল্পটা শুরু করা যাক…" 🎭 MAIN STORY SCRIPT (SCREENWISE FORMAT): 🖼️ Scene 1 – প্রাকৃতিক দৃশ্য Narrator: "যেখানে মাঠের পাশে বন, আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় – সেখানেই এক গর্তে থাকত ছোট্ট এক ছাগলছানা। মায়ের ভয় দেখানো কথায় সে গর্তের বাইরে যেত না।" 🎵 হালকা ভয়ানক সুর 🖼️ Scene 2 – সাহস ও কৌতূহল Narrator: "কিছুদিন পর সে একটু বড় হল। ভয় কমল। মা না থাকলে সে বাইরে উঁকি দিত। একদিন সে বেরিয়েই পড়ল।" 🖼️ Scene 3 – ষাঁড়ের সঙ্গে দেখা Narrator: "এক মস্ত ষাঁড় ঘাস খাচ্ছিল। ছাগলছানা ভাবল, এও বুঝি বড় ছাগল! জিজ্ঞেস করল— 'তুমি কী খাও?' ষাঁড় বলল, '...
  নরহরি দাস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী যেখানে মাঠের পাশে বন আছে, আর বনের ধারে মস্ত পাহাড় আছে, সেইখানে, একটা গর্তের ভিতরে একটি ছাগলছানা থাকত। সে তখনো বড় হয়নি, তাই গর্তের বাইরে যেতে পেত না। বাইরে যেতে চাইলেই তার মা বলত, 'যাসনে! ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে!' তা শুনে তার ভয় হত, আর সে চুপ করে গর্তের ভিতরে বসে থাকত। তারপর সে একটু বড় হল, তার ভয়ও কমে গেল। তখন তার মা বাইরে চলে গেলেই সে গর্তের ভিতর থেকে উকি মেরে দেখত। শেষে একদিন একেবারে গর্তের বাইরে চলে এল। সেইখানে এক মস্ত ষাঁড় ঘাস খাচ্ছিল। ছাগলছানা আর এত বড় জন্তু কখনো দেখেনি। কিন্তু তার শিং দেখেই সে মনে করে নিল, ওটাও ছাগল, খুব ভালো জিনিস খেয়ে এত বড় হয়েছে। তাই সে ষাঁড়ের কাছে গিয়ে জিগগেস করল, 'হ্যাঁগা, তুমি কী খাও। ষাঁড় বললে, 'আমি ঘাস খাই।' ছাগলছানা বললে, 'ঘাস তো আমার মাও খায়, সে তো তোমার মতো এত বড় হয়নি।' ষাঁড় বললে, 'আমি তোমার মায়ের চেয়ে ঢের ঢের ভালো ঘাস অনেক বেশি করে খাই।' ছাগলছানা বললে, 'সে ঘাস কোথায়?' ষাঁড় বললে, 'ঐ বনের ভিতরে।' ছাগলছানা বললে, 'আমাকে সেখানে নিয়ে যেতে হবে।...

📖 গল্পের নাম: "ছোট্ট ফুলির শিক্ষা"

  🎙️ Podcast Title: কথা ও গল্প (Kotha O Golpo) 🎧 Episode 1: কথামালা ও নীতিবোধের গল্প 📖 গল্পের নাম: "ছোট্ট ফুলির শিক্ষা" 🎤 Intro Voiceover (নরম অথচ স্পষ্ট গলায়): স্বাগতম সবাইকে “কথা ও গল্প” পডকাস্টে। এই চ্যানেলে আমরা শোনাবো নীতিমূলক, মন ছুঁয়ে যাওয়া ছোটগল্প, যা ছোটদের যেমন শেখায়, বড়দেরও ভাবায়। আজকের গল্প – “ছোট্ট ফুলির শিক্ষা” একটি নিরীহ ছোট মেয়ের জীবনে ঘটে যাওয়া এমন এক ঘটনা, যা তার জীবনের পথটাই পালটে দেয়। 🎧 [Story Begins - Calm background music starts] একটি ছোট্ট গ্রাম – হিজলপুর। সেখানে থাকতো ফুলি। বয়স মাত্র ৮, কিন্তু মনের দিক থেকে অনেক বড়। ফুলির বাবা একজন কৃষক। মা বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন করেন। দারিদ্র্য থাকলেও পরিবারে ভালোবাসার অভাব ছিল না। একদিন ফুলি স্কুল থেকে ফিরছিলো। পথে একটা চকচকে ছোট বাক্স তার চোখে পড়ে। সে অবাক হয়ে সেটা তোলে – ভিতরে একটা সোনার চেন! চোখ বড় হয়ে যায় ফুলির। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই মনে পড়ে যায় তার দিদিমণির কথা— “সত্যিকারের ভালো মানুষ সেই, যে লোভের সময়েও সৎ থাকতে পারে।” ফুলি সেই চেন নিয়ে সোজা চলে যায় পাশের দোকানে— সেখানকার কাকুকে চেনটা দ...

ভৌতিক সত্য ঘটনা গল্পের নামঃ নরখাদক ছায়া পর্বঃ ১

  ভৌতিক সত্য ঘটনা গল্পের নামঃ নরখাদক ছায়া পর্বঃ ১ অনেক বছর আগের কথা। বীরপুর নামে একটি অখ্যাত, গহীন জঙ্গলের পাশে গড়ে ওঠা ছোট্ট এক গ্রামে ঘটেছিল এই ঘটনাটি। তখনও আলো-বিদ্যুৎ পুরোপুরি পৌঁছায়নি সেখানে। সন্ধ্যার পরেই গ্রাম যেন মৃত্যুপুরী হয়ে যেত। এই গ্রামে বাস করত এক হতদরিদ্র দম্পতি—নন্দিনী ও তার স্বামী রঘু। তাদের বসবাস ছিল লোকালয় থেকে অনেকটা দূরে, প্রায় জঙ্গলের গায়ে একটি কুড়েঘরে। দুই সন্তান, অসুস্থ স্বামী ও নিরুপায় জীবনের ভারে জর্জরিত ছিল নন্দিনী। রঘু বহুদিন ধরেই অসুস্থ, শরীরের শক্তি একেবারে নিঃশেষ। শয্যাশায়ী হয়ে কেবল মৃত্যুর প্রতীক্ষায় ছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল শ্রাবণের অমাবস্যার রাতে। সেই রাত—আজও যারা বেঁচে আছেন, তাদের মুখে মুখে ফেরে। দিনভর মেঘ জমে ছিল। বিকেলের দিকে শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি, তারপর রাত নামতেই শুরু হয় এমন এক ভয়ানক অন্ধকার—যেন অন্ধকারও ভয় পেয়ে গিয়েছে নিজের গভীরতা দেখে। রাত তখন প্রায় ১১টা। নন্দিনী ঘরের কোণে স্বামীর পাশে বসে ছিল। হঠাৎ চারদিক কেঁপে উঠল কাকের অদ্ভুত চিৎকারে। ঝড়, বৃষ্টি, কাকের ডাক—সব মিলিয়ে নন্দিনীর হৃদয়ে যেন দাঁতের কামড় বসালো ভয়। স্বামীর কপালে হাত রাখতেই সে আ...
  📚 শিরোনাম (Title): "ছোট রাজকুমার ও আগুনের পরী | একটি মিথিক্যাল শিশুতোষ গল্প" ✨ গল্পের ধরন: ভাষা: বাংলা ধরণ: মিথ-ভিত্তিক, কার্টুন স্টাইল, শিক্ষামূলক টার্গেট: ৫-১০ বছর বয়সী শিশু মূল বার্তা: সাহস, বিশ্বাস ও সত্যের শক্তি 🎬 ভিডিও স্ক্রিপ্ট (Scene-wise): 🎵 ইন্ট্রো (5 সেকেন্ড): "শুরু হচ্ছে এক রূপকথার যাত্রা... যেখানে সাহস আর সত্যই জয় পায়!" 🌄 Scene 1: রাজকুমার লাল ও অন্ধকার জঙ্গল Narration: অনেক দিন আগে এক রাজ্যে থাকত ছোট্ট রাজকুমার লাল। সে খুব দয়ালু, কিন্তু ভয় পেত অন্ধকারে। একদিন রাজ্যের ওপর নেমে এলো রহস্যময় অন্ধকার – সূর্য হারিয়ে গেল! (Background: শিশু রাজা, রাজপ্রাসাদ, হঠাৎ করে অন্ধকার) 🔥 Scene 2: আগুনের পরীর আগমন Narration: লালের ঘুমের মধ্যে এল এক আগুনের পরী। সে বলল, “তুমি যদি সাহস করো, তবে আমিই তোমার পথ দেখাবো।" (Background: উজ্জ্বল আগুনের পরী, তার পাখা জ্বলছে আলোয়) 🌲 Scene 3: তিনটি রহস্যের পরীক্ষা পরীক্ষা ১: – লালকে এক বিশাল অন্ধকার গুহায় যেতে বলা হয়। – সে ভয় পায়, কিন্তু পরীর কথা মনে করে সাহস করে। পরীক্ষা ২: – এক সাপ ...
  সংসার-মুক্তির পথ: শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী - পত্রাংশ ৬৩ | Bedbani Khand 3, Letter 63 Explained" 📜 Video Intro (Voice + Visual Text Overlay): 🔊 Narration (soft devotional music in background): "নমস্কার, আজ আমরা শুনব শ্রীশ্রী রামঠাকুরের পত্রবাণী – বেদবাণী তৃতীয় খণ্ডের ৬৩ নম্বর পত্রাংশ। এই বাণী আমাদের শেখায় কীভাবে সংসারের মায়া কাটিয়ে মুক্তির পথে এগোনো যায়। আসুন, মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করি এই মহান শিক্ষাবাণী।" 📽️ Visual Suggestion: ধূপ ধুনো, ঠাকুরের ছবি, শান্ত মিউজিক ও “Bedbani - Part 3, Letter 63” লিখা টাইটেল স্লাইড 📝 Main Script: (পাঠ্যাংশ পাঠ ও ব্যাখ্যা সহ) 🕉️ মূল পাঠ  বেদবাণী তৃতীয় খণ্ড,শ্রীশ্রী রামঠাকুর এর পত্রাংশ নং -(৬৩)  সংসার মায়াময়, কর্ত্তৃত্বাভিমানে জরাকীর্ণ থাকায় সৎসঙ্গ ভ্রম হইয়া নানাবিধ ভোগ বিলাসে চিত্ত আবর্জ্জন থাকে। অতএব সর্ব্বদা অকর্ত্তা হইতে যত্নশীল থাকাই জীবদ্দশার কর্ত্তব্য।  ”ন কর্ত্তৃত্বং ন কর্ম্মাণি লোকস্য সৃজতি প্রভু:।  ন কর্ম্মফলসংযোগং স্বভাবস্তু প্রবর্ত্ততে। । ”অতএব কর্ত্তৃত্বাভিমান না থাকাই জীবের স্বভাব। গুণের মধ্যে কর্ত্...