সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

✋ হাতের রেখা বিচার A থেকে Z (Palmistry in Bengali)

    ✋ হাতের রেখা বিচার A থেকে Z (Palmistry in Bengali) 🔠 A থেকে Z বিষয়ভিত্তিক তালিকা: অক্ষর বিষয় বাংলা ব্যাখ্যা A Arjuna Line বিজয়ের রেখা, সাফল্যের প্রতীক B Bracelet Lines কব্জির দাগ, আয়ু ও ভাগ্যের সংকেত C Cross on Palm হাতের ক্রস চিহ্ন – বাধা বা আশীর্বাদ D Destiny Line (ভাগ্যরেখা) কর্মজীবন ও ভাগ্যের দিক নির্ধারণ E Education Line শিক্ষাগত সাফল্যের রেখা F Fate Line কর্মজীবনের উত্থানপতনের রেখা G Girdle of Venus অতিরিক্ত আবেগ বা শিল্পপ্রতিভার চিহ্ন H Heart Line (হৃদয়রেখা) ভালোবাসা ও সম্পর্কের সূচক I Island Sign জীবনে বাধা বা কষ্টের প্রতীক J Jupiter Mount নেতৃত্ব, সম্মান ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা K Ketu Line আধ্যাত্মিকতা ও বিচ্ছিন্নতার রেখা L Life Line (জীবনরেখা) শরীর, স্বাস্থ্য ও আয়ুর ইঙ্গিত M Mystic Cross আধ্যাত্মিক প্রতিভার চিহ্ন N Nail Shape স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে O Om Symbol on Palm আধ্যাত্মিক শক্তির ইঙ্গিত P Palm Shape চার প্রকার – Earth, Air, Fire, Water Palm Q Quadrangle (রেখার ম...
  স্ক্রিপ্ট: কচ্ছপ এবং হাঁস (Screenwise) 📜 INTRO SCREEN: দৃশ্য: নীল আকাশ, রোদেলা দিন, পুকুরের ছবি। Narration: "এক ছিলো এক কচ্ছপ। সে থাকতো একটি শান্ত পুকুরের ধারে।" 📜 SCREEN 1: দৃশ্য: কচ্ছপ আর দুই হাঁস পুকুরের পাশে বসে গল্প করছে। Narration: "কচ্ছপের ছিলো দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু — দুইটি হাঁস। তারা সারাদিন গল্প করত, খেলত আর হাসত।" 📜 SCREEN 2: দৃশ্য: রোদের তাপ, শুকনো গাছ, ফাটল ধরা পুকুর। Narration: "একদিন প্রবল খরা এল। পুকুরের জল শুকিয়ে গেল।" 📜 SCREEN 3: দৃশ্য: চিন্তিত হাঁস আর কচ্ছপ আলোচনা করছে। Narration: "হাঁসরা বলল — 'বন্ধু, আমাদের অন্য জায়গায় যেতে হবে। এখানে আর বাঁচা সম্ভব নয়।'" 📜 SCREEN 4: দৃশ্য: কচ্ছপ দুঃখ করে হাঁসদের বলছে। Narration: "কচ্ছপ কাঁদতে কাঁদতে বলল — 'তবে আমি? আমি তো হাঁটতে পারি না এতদূর!'" 📜 SCREEN 5: দৃশ্য: হাঁসেরা একটি পরিকল্পনা করছে (হাঁসদের হাতে কাঠি)। Narration: "হাঁসরা একটা বুদ্ধি করল — 'তুমি এই কাঠির মাঝখানে মুখ দিয়ে ধরো। আমরা দুই পাশে ধরে উড়ে যাবো।'...
  🎬 Video Title: The Pied Piper of Hamelin | English Fairy Tale | ChuChu TV Style Cartoon | Bedtime Stories for Kids 🎵 🎬 Video Intro (Intro Script): 🎶 🔊 [With music and soft nursery-style voice] 🗣️ "Today, we will listen to an amazing magical tale – The Pied Piper of Hamelin! Come on, let’s begin our magical fairy tale adventure!" 🎵 [Cartoon logo appears: “ChuChu Tales English”] 📽️ Screen-wise Script and Image Prompts: 🌆 Scene 1: View of the Town 📜 Narration (Voiceover): "Many, many years ago, there was a town in Germany named Hamelin. It was a beautiful place, but one day, a terrible danger arrived..." 🖼️ Image Prompt: A cartoon-style town with smiling people, colorful houses, streets—everything looks peaceful and clean. 🐀 Scene 2: The Rat Invasion 📜 "Rats spread all over the town. They spoiled food, tore clothes, and even scared children. People were very troubled." 🖼️ Image Prompt: In colorful cartoon style, count...
  🎬 ভিডিও টাইটেল: হ্যামেলিন-এর বাঁশিওয়ালা | Bangla Fairy Tale | ChuChu TV Style Cartoon | Bengali Bedtime Stories for Kids "আজকে আমরা শুনবো এক আশ্চর্যজনক জাদুকর বাঁশিওয়ালার গল্প – হ্যামেলিন-এর বাঁশিওয়ালা! চল, শুরু করি এক জাদুতে ভরা রূপকথার অভিযান!" 🎵 "অনেক অনেক বছর আগে, জার্মানির একটি শহর ছিল, যার নাম হ্যামেলিন। শহরটি ছিল খুব সুন্দর, কিন্তু হঠাৎ একদিন সেখানে দেখা দিল ভয়ংকর বিপদ..." "শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়লো অগণিত ইঁদুর। তারা খাবার নষ্ট করতো, কাপড় ছিঁড়ে ফেলতো, এমনকি শিশুদেরও ভয় দেখাতো। মানুষ খুব কষ্টে পড়লো।" রঙিন কার্টুন স্টাইলে অসংখ্য ইঁদুর ঘুরে বেড়াচ্ছে ঘর-বাড়ির ভিতরে, খাবার চুরি করছে। "তখন শহরের মেয়র ঘোষণা দিলেন, 'যে এই ইঁদুরগুলো সরাবে, তাকে আমরা এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা উপহার দেবো!'" "একদিন শহরে এলেন এক রহস্যময় বাঁশিওয়ালা। রঙিন জামা, মাথায় টুপি, হাতে বাঁশি। তিনি বললেন, 'আমি পারবো সব ইঁদুর সরিয়ে দিতে!'" 📜 "বাঁশিওয়ালা বাঁশি বাজানো শুরু করলেন। আশ্চর্য! সব ইঁদুর তার পেছনে পেছনে চলতে লাগলো।...
  🎬 গল্পের নাম: "লোভী শিয়াল ও বুদ্ধিমান কচ্ছপ" 🎭 চরিত্র: শিয়াল – চতুর কিন্তু লোভী কচ্ছপ – ধীর কিন্তু বুদ্ধিমান খরগোশ – দর্শক, মাঝেমধ্যে মন্তব্য করে পাখিরা – ব্যাকগ্রাউন্ডে সঙ্গীত ও প্রতিক্রিয়া দেয় 📽️ স্ক্রিপ্ট (Screen-Based Format): 📸 Scene 1: (বনের শান্ত পরিবেশ, নদীর ধারে কচ্ছপ বসে আছে, ফল খাচ্ছে।) 🎙️ Narrator: একটি জঙ্গল ছিল, যেখানে এক কচ্ছপ শান্তিতে বসবাস করত। সে খুব বুদ্ধিমান ছিল। 📸 Scene 2: (শিয়াল গাছের আড়াল থেকে কচ্ছপকে দেখে লোভীভাবে হাসছে।) 🦊 শিয়াল (চিন্তা করছে): “উঁহু... এই কচ্ছপের কাছে বেশ কিছু সুস্বাদু ফল আছে! ওকে একটু চালাকি করে ঠকাই।” 📸 Scene 3: (শিয়াল কচ্ছপের কাছে আসে) 🦊 শিয়াল: “বন্ধু কচ্ছপ! তুমি তো খুব ভালো ফল খাচ্ছ। আমাকে একটু দেবে?” 🐢 কচ্ছপ: “নিশ্চয়ই বন্ধু! কিন্তু প্রথমে বলো, তুমি কখনো কারো সঙ্গে ঠক করেছো?” 🦊 শিয়াল (ঝট করে): “না না! আমি তো একেবারেই সৎ!” 📸 Scene 4: (কচ্ছপ এক টুকরো ফল দেয়, শিয়াল খেয়েই পালাতে চায়) 🐢 কচ্ছপ (হেসে): “এইবার কিন্তু তুমি প্রমাণ করেছো—তুমি মিথ্যে বলেছো। এখন শাস্তি হবে!” 📸...
  বিশ্ব পৃথিবী দিবস উপলক্ষে (ইকো ক্লাব আহ্বায়কের পক্ষ থেকে)  আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই এখানে উপস্থিত সম্মানিতপ্রধান , শিক্ষিকা,শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রিয় ছাত্রছাত্রী, ও সহকর্মীবৃন্দকে। আজ ২২শে এপ্রিল , বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে "বিশ্ব পৃথিবী দিবস" । এই বিশেষ দিনে আমাদের স্কুলের ইকো ক্লাব -এর পক্ষ থেকে আমি, [ আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আজকের এই দিনটি শুধু একটি দিন নয়—এটি আমাদের এক নতুন অঙ্গীকারের দিন। আমাদের একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহ **"পৃথিবী"**কে রক্ষা করার জন্য আমাদের সচেতনতা, দায়িত্ববোধ এবং একসঙ্গে কাজ করার প্রেরণা জাগায় এই দিন। এই বছরের পৃথিবী দিবসের প্রতিপাদ্য (Theme) হচ্ছে — "[এ বছরের থিম দিন, যেমন: Restore earth" ।   অর্থাৎ 'আমাদের পৃথিবীকে পুনরুদ্ধার করি'। এই প্রতিপাদ্য শুধু একটি আহ্বান নয়—এটি একটি দায়িত্ব, একটি সুযোগ এবং একটি অঙ্গীকার। পৃথিবী আমাদের শুধু বাসস্থান নয়, এটি আমাদের জীবনদাত্রী, আমাদের সংস্কৃতির আঁতুড়ঘর। কিন্তু আজ আমরা দেখছি, সেই পৃথিবীই বিপন্ন—বৃক্ষচ্ছেদন, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের বিলুপ্তি—এ...
 শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা পত্র Subrata Majumder Founder, Sri Sri Ramthakur o Gan - Ganer Vhubon YouTube Channel: Sri Sri Ramthakur প্রিয় ভক্তবৃন্দ ও শুভানুধ্যায়ীগণ, নমস্কার ও প্রণাম। আমি, সুব্রত মজুমদার, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি আপনাদের সকলকে, যাঁরা আমাদের Facebook Page ও YouTube Channel — Sri Sri Ramthakur https://www.youtube.com/@SriSriRamthakurকে ভালোবেসে, উৎসাহ দিয়ে, এবং আশীর্বাদ করে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। আপনাদের প্রত্যেকটি সাবস্ক্রিপশন, লাইক, শেয়ার ও মন্তব্য আমাদের জন্য এক অমূল্য প্রেরণা। এই ভক্তিভাবনায় পূর্ণ প্ল্যাটফর্মটি কেবলমাত্র আমার একার প্রচেষ্টায় নয়, আপনাদের সম্মিলিত আশীর্বাদ ও সমর্থনের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই—শ্রীশ্রী রামঠাকুরের ভাবধারা ও গান সবার হৃদয়ে পৌঁছে দেওয়া এবং একটি ভক্তিময় পরিবেশ গড়ে তোলা। এই যাত্রায় আপনাদের পাশে পেয়ে আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা ভবিষ্যতে আরও মানসম্মত ও হৃদয়স্পর্শী ভক্তিগীতি, উপদেশ ও শিক্ষামূলক ভিডিও নিয়ে আসব। অনুগ্রহ করে আমাদের পাশে থাকুন, আমাদের উৎসাহ দিন, এবং নতুন দর্শকদের আমন্ত্রণ জানান আমাদের সঙ্গ...
"Learn ABC with Animals – A for..." "Hey kids! Let’s learn ABC with animals!" A for Apple 🍎 and A for Alligator 🐊 📢 VO: "A for Apple 🍎… and A for Alligator 🐊!" 🐝 Letter B hops in B for Ball ⚽ and B for Bee 🐝 📢 VO: "B for Ball ⚽… and B for Bee 🐝!" 🐱 Letter C with a Cat and Carrot 🎶 Meow sound 📢 VO: "C for Cat 🐱… and C for Carrot 🥕!" 🌈 Quick flashes of A-B-C animals with soft voice 📢 VO: "Let’s remember – A for Apple, B for Bee, C for Cat!" "Great job, little learner!" 📢 VO: "You did amazing! See you next time!"
  দুষ্টু কাঠবেড়ালি | Naughty Squirrel শিশুদের জন্য একটি নৈতিক গল্প Narration: "গভীর জঙ্গলের এক রহস্যময় গাছতলায় বাস করত ঝটপট, এক চঞ্চল কাঠবেড়ালি। কিন্তু সে শুধু দুষ্টু না... তার ছিল এক গোপন খেলা!" "ঝটপট ছিল হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়া, হুট করে ঝাঁপিয়ে পড়া, আর সবার খাবার লুকিয়ে ফেলার ওস্তাদ। কিন্তু কেউই তাকে ধরতে পারত না।" "একদিন হরিণটার লাল আপেল, বানরের কলা, আর খরগোশের গাজর একসাথে গায়েব হয়ে গেল! সবাই চমকে উঠল। এটা কি জাদু?" "ঝটপট গাছের এক গোপন গর্তে সব খাবার লুকিয়ে রাখত। সে একাই বসে মজা করত, আর অন্যরা খালি হাতে বসে থাকত।" "তবে এবার প্রাণীরা একসাথে ঠিক করল—এই দুষ্টুকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। বানর বলল, 'আমরা একটা ফাঁদ বানাই!'" "পরের দিন গাছের নিচে রাখা হল এক চকচকে বাদাম। আর বাদামের নিচে ছিল এক দড়ির ফাঁদ।" "ঝটপট চকচকে বাদাম দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারল না। সে ঝাঁপ দিল… আর তখনই—'ধাপ'! সে ফেঁসে গেল!" "সবার সামনে পড়ে ঝটপট লজ্জায় কুঁকড়ে গেল। সে বলল, 'আমি আর কখনো দুষ্টুমি করব না… সত্যি বলছি!'...

বেদবাণী দ্বিতীয় খন্ড - (৩) পত্রাংশ। শ্রী শ্রী রামঠাকুর।

    বেদবাণী দ্বিতীয় খন্ড - (৩)   পত্রাংশ। শ্রী শ্রী রামঠাকুর। এই সংসার মায়ামুগ্ধ বশত: বাসনা জালে চরাচর ঘুরিয়া বেড়াইতে হয়। প্রয়োজন বিষয় জানিতে না দিয়া কেবল অনিত্য অভাবেরই সৃষ্টি করিয়া ফেলে। মনে যাহা ভাল বোধ করে তাহাই করিয়া থাকে। তজ্জন্য হিতাহিত বর্জ্জিত হইয়া কেবল বাসনায় বদ্ধ হয়,সংসার ক্ষয় যায় না। কেবল জন্ম মৃত্যুর দন্ড লাভ করে।     . মায়ার জালে আবদ্ধ সংসার: এই সংসার মায়ার দ্বারা আবদ্ধ, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং সঠিক পথে চলতে বাধা দেয়। মানুষের বাসনা তাকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরিয়ে বেড়ায়। ২. প্রকৃত প্রয়োজনকে অবহেলা: মানুষ প্রকৃত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বুঝতে পারে না। এর পরিবর্তে অস্থায়ী এবং ক্ষণস্থায়ী জিনিসের জন্য ক্রমাগত বাসনার সৃষ্টি করে। ৩. মনের ইচ্ছার অনুসরণ: মন যা ভালো মনে করে, মানুষ তা-ই করে। এতে অনেক সময় মানুষের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। ৪. বাসনার বন্ধনে আবদ্ধ থাকা: বাসনা মানুষকে সংসারের জালে বেঁধে রাখে। এর ফলে মুক্তি লাভ সম্ভব হয় না। ৫. জন্ম-মৃত্যুর চক্র: মানুষ জন্ম-মৃত্যুর চক্রে আবদ্ধ থাকে এই আবেগ এবং বাসনার কারণে। প্রকৃত শান্তি বা মুক্তি লাভ করতে ব্যর্থ হয়। ৬....
  *"শ্রী শ্রী রামঠাকুরের ঐশ্বরিক বাণী: নামের শক্তি উন্মোচন"* *"আপনাকে স্বাগত জানাই এই আধ্যাত্মিক আলোকিত যাত্রায়, যা শ্রী শ্রী রামঠাকুরের গভীর শিক্ষায় পরিচালিত। এই ভিডিওতে আমরা তাঁর ঐশ্বরিক বাণীর অন্তর্নিহিত অর্থ আবিষ্কার করব, যা আমাদের সত্য, শান্তি ও চিরস্থায়ী আনন্দের সাথে যুক্ত হতে সাহায্য করে। চলুন, আধ্যাত্মিকতার আলো দিয়ে আমাদের হৃদয় আলোকিত করি এবং একসাথে এই পথ অনুসরণ করি।"*   বেদবাণী দ্বিতীয় খন্ড -  (২) পত্রাংশ। শ্রী শ্রী রামঠাকুর। (২) ভগবানের নামই সত্য,নামই শান্তি,নামই আনন্দ,নামেই আশ্রয় লইলে অপ্রাপ্ত কিছুই থাকে না,কোথাও তীর্থে যাইতে হয় না। বেদপুরাণগত সুখ-দুঃখও থাকে না। সর্ব্বদা আনন্দ প্রকাশ করিয়া অহেতু ভক্তি নামের রুচি প্রদান করিয়া থাকেন। কর্ত্তাভিমানীর কর্ম্মাদির দ্বারা যাহা কিছু সুখ দু:খাদি লাভ হয তাহা সকলি অস্থায়ী,ভগবৎ পদ দিতে পারে না। অতএব সর্ব্বদা নাম করিবেন,মনের শান্তি অশান্তির দিকে লোভ রাখিবেন না,নামেই আপনাকে এই সুখ দুঃখ সংসারের তরঙ্গ হইতে উদ্ধার করিবেন।  শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণীটি অত্যন্ত গভীর এবং তাৎপর্যপূর্ণ। এখানে প্রতিটি পয়েন্ট বিশ্লেষণ করে ব...
  বেদবাণীর অন্তর্নিহিত প্রজ্ঞা: শ্রী শ্রী রামঠাকুরের দিকনির্দেশ" "আজকের এই উপস্থাপনায় আমরা প্রবেশ করব শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণীতে লুকিয়ে থাকা অনন্ত জ্ঞানের অমৃতধারা। আমাদের জীবনের প্রতিটি কর্ম, প্রাপ্তি, এবং ত্যাগ কীভাবে ভাগ্যের ছকে বাঁধা এবং প্রকৃতির শাসনে পরিচালিত হয়—তা নিয়ে আলোচনা হবে আজ। আসুন, আত্মিক শান্তি এবং সত্য অনুসন্ধানের পথে এই দার্শনিক মতবাদকে আবিষ্কার করি।" বেদবাণী দ্বিতীয় খন্ড -(১) পত্রাংশ। শ্রী শ্রী রামঠাকুর। লোক সকল স্ব স্ব ভাগ্যবশে প্রকৃতির তারতম্য অনুসারে এই মরুভূমে অস্থায়ী বস্তুর প্রলোভনে আকৃষ্ট হইয়া দেহ গেহ সমাজের দ্বারা সুখী দু:খী ইত্যাদি বিদ্যা বুদ্ধি লাভ করিয়া ঐ প্রকৃতির গুণের দ্বারা পরিচালিত হইয়া থাকে। একেই কর্ম্মভোগ বলিয়া জানিবেন। এই ভোগই ভাগ্য অনুসারে হয়। এই ভোগদান করিলেই শান্তি পদ উপভোগের অধিকারী হয়…..মন হইতেই সুখ দুঃখ ভোগ হয়। এই জন্যই পতিসেবার মহত্ত্ব নিয়োগ বিধান করিয়া স্বভাবেই দাসত্ব সেবা হইয়া থাকে। মনের দরকার হয় না। সকর প্রাণীর সত্যরুপ আত্মা একই হয়,ভিন্ন কেহই নয়,দেহই অবয়বই পৃথক পৃথক দেখা যায়। মূল ভাবনা: মানবজীবন এবং কর্মভোগ: প্র...
 🌺কালীঘাটের মা কালী ও শ্রীশ্রী রামঠাকুর🌺 শ্রীশ্রী ঠাকুরের আদেশ প্রাপ্ত হয়ে ডাঃ দাসগুপ্ত সানন্দে কালীঘাটের মা কালীকে পুজো আর দরিদ্র নর নারায়নের প্রসাদ পাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। দরিদ্র নর নারায়নদের প্রসাদ গ্রহনের সময় দাসগুপ্তকে সাবধান হতে নির্দেশ দিয়ে ঠাকুর বললেন- "দেখিবেন তাহারা পরস্পর ঝগড়া-ঝাটি, অশ্লীল গালাগালি, কুত্সিত আচরণ করিতেছে। আপনি সেদিকে দেখিবেন না। আপনাদের দেখিয়া সঙ্গে সঙ্গে তাহারা চক্ষু বুজিয়া কেহ কালী-কালী, কেহ শিব-শিব, কেহবা হরি-হরি জপ করিতেছে। আপনি এগুলি দেইখ্যা রাগ করিবেন না। হাত জোড় কইরা পরের দিন সকলকে প্রসাদ গ্রহনের নিমন্ত্রণ কইরা আসবেন অতি শ্রদ্ধায়।" পূজার দিনে মাছের ভোেগ তৈরী করে দক্ষিনা কালীর পূজা হলো কালীঘাটে। প্রচুর পরিমানে প্রসাদ পেয়ে দরিদ্র নরনারায়ন সবাই তুষ্ট ও আনন্দিত। ডাঃ দাসগুপ্ত তখন নাট মন্দিরে সমাহিত চিত্তে গুরু প্রদত্ত নাম জপ করছেন। পূজা শেষ হতে একজন পাণ্ডা ছুটে এসে ধ্যান মগ্ন দাসগুপ্তকে নিয়ে গেলেন মন্দিরের গর্ভগৃহে আশীর্বাদের জন্য। দাসগুপ্ত সাষ্টাঙ্গে প্রনাম করে উঠে তাকালেন মায়ের মুখের দিকে। কিন্তু একী! কোথায় মা, এ যে ঠাকুরের মুন্ডমালিনী র...
  তোমরা না দেখলে আমারে দেখব কে? যামু কই? ঠাকুর স্নেহাদর করিতে করিতে বলিতে লাগিলেন, ‘আমি রাগ দেখাই, রাগ করি না৷ ফোঁস করি, কামড় দেই না৷আমার রাগ তরঙ্গহীন৷তাতে চিত্তে ঢেউ খেলে না, কোন রকম দাগ কাটে না৷দাগ কাটে না বইলাই আমার ক্রোধ সাময়িক ও অস্থায়ী৷ক্রোধ আমারে পায় না, প্রয়োজন বোধে আমিই ক্রোধেরে পাইয়া থাকি৷স্বভাবেই থাকি, স্বভাবের অভাব হয় না৷তোমারে ক্রোধ দেখাইছি, এখন আর স্মরণেও নাই৷গরম জল ফুরাইয়া গেছে সরল ভাবে জানালেই হইত, তা না কইরা তুমি দ্বৈতবুদ্ধির আশ্রয় নিলা কেন? সরলতার আশ্রয়ে থাকা নিরাপদ৷শিশুর সরলতাই একমাত্র আশ্রয়৷সেইখানে মন, বুদ্ধির ক্রিয়া নাই৷ সেইজন্য শিশুর মধ্যে ভগবান বিরাজ করেন৷শিশুর মত সরল হইতে পারলে ভগবানরে পাওয়া যায়৷আমি বাঞ্ছা করি তুমি শিশুর মত সরল হও৷সরলতা আমি ভালবাসি৷শুধু সরলতা দিয়া আমারে পাওয়া যায়, সাধ্যসাধনে মিলে না৷তোমার শোধনের প্রয়োজন হইয়া পড়ছিল৷আমার স্বভাব ভাল নয় বইলা কেহ আমারে ভালবাসে না৷তোমরা না দেখলে আমারে দেখব কে? যামু কই? – এই বলিয়া ঠাকুর নীরব হইতেই আমি শ্রীপাদপদ্মে প্রনাম করিলাম৷ (শ্রীফণীন্দ্রকুমার মালাকার লিখিত রামভাই স্মরণে)
  জয় রাম, ‘শ্রীশ্রী কৈবল্যনাথ’ -পট নির্মাণের ইতিহাস,, শ্রীশ্রীরামঠাকুরের আশ্রিত পরমভক্ত শ্রীযুক্ত মনমোহন পাইন মহাশয়। পেশায় তিনি ছিলেন একজন ফটোগ্রাফার। ঢাকা শহরে তাঁহার ছোট একটি দোকান ছিল। ফটোতোলার কাজ করিয়া পরিবারের গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা কোন প্রকারে অতি দরিদ্রতার সহিত নির্ব্বাহ হইত। শ্রীশ্রীরামঠাকুরের প্রতি ছিল তাঁহার অগাধ বিশ্বাস এবং ভক্তি। কোনরূপ উচ্চাকাঙ্খা বা প্রার্থনা ছিল না তাঁহার। শ্রীশ্রীরামঠাকুরের প্রতি মনমোহনদার গভীর অনুরাগ সদানন্দবাবুকে আকর্ষণ করিয়াছিল সহজেই। অন্যদিকে এত অল্প সময়ে গুরুর প্রতি সদানন্দের প্রগাঢ় ভক্তি শ্রদ্ধা, আকৃষ্ট করিয়াছিল ফটোগ্রাফার মনমোহনদাকে। স্নেহ ভালবাসার জোরে একে অন্যকে আপন করিয়া লইয়াছিলেন। বয়সের পার্থক্য বাধা হয় নাই। কখনও মনমোহনদার সংস্পর্শে আসিলে সদানন্দদাদা তাঁহার সঙ্গে সঙ্গে থাকিতেই আনন্দ বোধ করিতেন। মনমোহনদার প্রাণের ইচ্ছা শ্রীশ্রীরামঠাকুরের কয়েকটি ছবি তোলেন। কিন্তু স্বল্পভাষী লাজুক প্রকৃতির মানুষ, মনমোহনদা ঠাকুর মহাশয়কে বলিতে সাহস পাইতেছিলেন না। তাঁহার অন্তরের ওই ইচ্ছার কথা সদানন্দদাদাকেও বলিলেন। অবশেষে তাঁহার আন্তরিক বাসনা শ্রীশ্রীঠাকুর পূ...

ছোট্ট পায়েল আর জলের কলসি

 ছোট্ট পায়েল আর জলের কলসি  "এই ছিল পায়েল, একটা ছোট্ট মেয়ে। গ্রামে সবাই তাকে ভালোবাসত। সে শুধু পড়াশোনা নয়, প্রকৃতি আর পশুপাখির সাথেও খুব মিশে থাকতো।"   পায়েল ঘাটে জল আনছে (পায়েল নদীর ঘাটে যাচ্ছে কলসি হাতে) পায়েল (হেসে): "আজ অনেক গরম! মা’র জন্য ঠান্ডা জল আনতে হবে।" (পথে টুকটুকি পাখি ডাকছে) টুকটুকি: "পায়েল! দেখো, ওই ছোট গাছটাকে জল চাই! মাটিটা একেবারে শুকিয়ে গেছে!" পায়েল: "ঠিক বলেছো টুকটুকি। আমাদের জল ওকেও ভাগ করে দিতে হবে।"   গাছকে জল দেওয়া (পায়েল নিজের কলসির অর্ধেক জল ছোট্ট গাছটিকে ঢেলে দেয়। গাছ যেন খুশি হয়ে দোলে) গাছ (হাল্কা আলোয় ঝিকিমিকি করে): "ধন্যবাদ পায়েল! তুমি প্রকৃতির বন্ধু।"   আশ্চর্য ঘটনা (হঠাৎ পায়েলের খালি কলসি নিজে নিজে জল দিয়ে ভরে যায়!) পায়েল: "একি? জল এল কোথা থেকে?" টুকটুকি (হেসে): "প্রকৃতি কেবল তাদেরই আশীর্বাদ দেয়, যারা দেয় – নেয় না।"     : মা-এর মুখে হাসি (পায়েল জল নিয়ে মায়ের কাছে ফিরে আসে। মা অবাক হয়ে যায় – কলসিতে ঠান্ডা জল!) মা: "তুই কি নদী থেকে বরফ নিয়ে এলি নাকি?" পায়েল ...
  শ্রীশ্রীরামঠাকুরের অমৃতবাণী~ "আপনে সংসার ছাইড়া অরণ্যে গিয়া তপস্যা করতে চান? অরণ্য বলে কারে? টিলা, কঙ্করময়, বহু তৃণ, গুল্ম, তরুলতাদি সমাকীর্ণ স্থানেরে অরণ্য বলে। সেইখানে বাঘ, ভালুক প্রভৃতি বহু প্রকারের হিংস্র জন্তু বাস করে। তাগো সঙ্গে বাস করার যোগ্যতা আপনে অর্জন করছেন কি? আপনার হিংসা, দ্বেষ দূর হইয়া সমভাবাপন্ন হইতে পারছেন কি? যদি তা না হইয়া থাকে তবে তাগো লগে বাস করবেন কি কইরা? আপনার হিংসা তাগো হিংসা আকর্ষণ কইরা আনব। তপস্যা করার উপযুক্ত স্থান সংসার অরণ্য। বহু তরুলতা, জন্তু জানোয়ারের সমাবেশে যেমন অরণ্য হয়, তেমনি বহু জনের সমাবেশে সংসার অরণ্য হয়। এই সংসার অরণ্যে আপনে আপনার পিতা, মাতা, ভ্রাতা, ভগ্নি, স্ত্রী, পুত্র, পরিজন, আত্মীয় - স্বজন, আড়া, পাড়া, পড়শী, গ্রাম বাসী, দেশবাসীর সঙ্গ লাভ করছেন। এই সকলের নিকট আপনি ঋণী বইলাই তাগো সঙ্গ পাইছেন। তা না হইলে আপনে পৃথিবীর অন্য স্থানেও জন্ম নিতেও পারতেন। কিন্তু তা হয় নাই। যেহেতু আপনে অন্যত্র ঋণী নন। আপনে এগো নিকট ঋণী বইল্যাই এগো ঋন শোধ করবার জন্য এগো সঙ্গ লাভ হইছে। এগো ঋণ যে কোন সময়, যে কোন কালেই হউক আপনার শোধ করতে হইব। এই ভিন্ন গতি নাই। এগো প্রা...
  ১৩৪১ সন, পূজার বন্ধ, আজ মহাষ্টমী। ঠাকুর তখন ফেণী শহরে সুরেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্তীর বাসায়। সকাল হইতে আকাশের বুকে ঘন কাল মেঘরাশি বর্ষণোন্মুখ অবস্থায় বিরাজমান। শ্রীশ্রীঠাকুর আসিয়া সাজান চেয়ারে আসন গ্রহন করিলে উপস্থিত ভক্তবৃন্দ শ্রীপাদপদ্মে অঞ্জলি প্রদান করিলেন। আকাশের অবস্থা ক্রমেই দুযোগপূণ ‍ ‌ ‍ ‌ হইয়া উঠিতেছে দেখিয়া সকলে প্রসাদ পাইয়া চলিয়া গেলেন। গুরুভাই ফণীবাবু বাড়ি না গিয়ে পাশের বাসায় বন্ধুদের সঙ্গে দাবা খেলিতে শুরু করিলেন। খেলা শেষ হইলে বাহিরের দিকে তাকাইয়া ঊনার চক্ষুস্থির হইয়া গেল। রাস্তাঘাট সব জলমগ্ন। ঘড়িতে তখন পৌনে ৫টা। বৃষ্টি বন্ধ হইয়াছে। ঠাকুরের নিকট গিয়া প্রণাম করিলে ঠাকুর ক্রোধভরে বলিলেন, আপনে এখনও বাড়ি যান নাই কেন? পথঘাট সব ডুইবা গেছে। শিগগির বাড়ি চইলা যান। শ্রীগুরু ভরসা করিয়া তিনি বাড়ি যাত্রা করিলেন। সন্ধ্যা না হইলেও গাঢ় মেঘাচ্ছন্ন আকাশের জন্য তখন সন্ধ্যা বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছিল। তিনি তখন দ্রুতবেগে ফাঁড়ি পথে অগ্রসর হইয়া মন্দিয়া নামক দীঘির অগ্নিকোণে উপস্থিত হইলেন। ঝড়তুফানে বহু গাছ পড়িয়া যাওয়ায় ঊনার যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হইয়া গেল। কোন উপায়ান্তর না দেখিয়া দীঘির ভিতর জলের কিনার...